কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্ট : গেল বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে এবার প্রায় ১ কোটি পিস কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে চামড়া শিল্প নগরী স্থানান্তর জটিলতা এবং লবণের দাম বেশি হওয়ায় প্রতিবেশী দেশে চামড়া পাচারের আশঙ্কা করছেন তারা।
দেশের সংগৃহীত চামড়ার সবচেয়ে বড় যোগান আসে কোরবানির ঈদে। তাই ঈদের কয়েকদিন আগে ব্যবসায়ীরা যখন চামড়া কেনার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তখন অলস সময় কাটছে এ শিল্পের শ্রমিকদের। ঈদের দিন থেকেই বদলে যাবে এই দৃশ্য। ব্যবসায়ীরা জানালেন, গেল বারের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি চামড়া সংগ্রহের প্রত্যাশা তাদের।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ বলেন, গত বছর আমরা ৫৫ লাখ থেকে ৬০ লাখ গরুর চামড়া এবং ছাগলের চামড়া ৩০ থেকে ৩৫ লাখ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। সেটা সংগ্রহ করতে পেরেছি। প্রতি বছরই ৫ থেকে ১০ শতাংশ কুরবানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই হিসেবে এবারও আশা করা যায় ৬০ থেকে ৬৫ লাখ গরুর চামড়া সংগ্রহ হতে পারে।
গরু, মহিষ ও ছাগল মিলিয়ে এবারে ঈদে প্রায় ১ কোটি কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে, অতিরিক্ত গরম ও হঠাৎ বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় এবারে চামড়া নষ্ট হওয়ার ঝুঁকিও বেশি বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গরমের সময় ঈদ হচ্ছে এছাড়া এটা বর্ষাকাল। এবার লবণের দাম বেশি অনেকেই লবণ কম দিতে চাইবে। তাই লবণ কম দেয়ার কারণে চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই কাজ টুকু কেউ যেন না করে। প্রতিটা চামড়ায় যেন ১০ থেকে ১২ কেজি লবণ দেয়া হয়। যখন দেশের বাজারে চামড়ার দাম কমে যায় তখন প্রতিবেশী দেশে চামড়া পাচারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
প্রতিবেশী দেশে কাঁচা চামড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবারে চামড়া পাচারেরও আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। এবারে রাজধানীতে লবণ যুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৫০ এবং সারাদেশে ৪০ টাকা আর ছাগী ও খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ ও ২০ টাকায় বিক্রির কথা রয়েছে।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম