কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরগুনায় দরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের কেজি প্রতি মাত্র ১০ টাকায় চাল কেনার সুযোগ তথা স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার সহায়তা, সেই সাথে বঙ্গোপসাগর ও নদীগেুলোতে ইলিশ বেড়ে যাওয়াতে এবারের ঈদুল আজহায় জেলে পল্লীগুলোতে আনন্দের বাতাস বইছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো ইলিশ বোঝাই করে তীরে ফিরে আসছে। বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্যবন্দর, পটুয়াখালীর আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলেসহ বিভিন্ন এলাকার আড়ৎদার ও মৎস্যজীবীদের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলে পাড়ার মানুষদের ব্যস্ততা যেমন বেড়েছে উপার্জনও হচ্ছে আশানুরূপ বলে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন।
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আমতলী, পাথরঘাটা, বেতাগী ও বরগুনা পৌরসভার মেয়ররা জানিয়েছেন, প্রতিবারের মতো ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে দৃরিদ্র মানুষদের সহায়তা দেয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সেই সাথে ১০ টাকা কেজি দরে চাল প্রাপ্তি ভাদ্র-আশ্বিন মাসের এই অভাবের সময়টাতে জেলেসহ সাধারন মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছেন, সাগর-নদীতে ইলিশ ধরা পড়ার সংখ্যা বেড়েছে। বরগুনা ও পাথরঘাটা, কুয়াকাটা, আলীপুর ও মহিপুরের মৎস্য আড়ৎগুলোতে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
বরগুনা জেলার কমিশন এজেন্ট ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে স্থানীয় আড়ৎগুলোতে ৮শ থেকে ৯শ গ্রামের প্রতিমন ইলিশ ২০- ২৫ হাজার টাকায়, ৭শ থেকে ৮শ গ্রামের প্রতিমণ ইলিশ ১৯ হাজার টাকায় ও ৪শ থেকে ৫শ গ্রামের প্রতিমণ ১২-১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মহিপুর মৎস্য আড়তদার সমবায় সমিতির সাধারণ স¤পাদক নিমাই চন্দ্র দাস জানান, গত কয়েক দিন ধরে ছোট বড় সব মাছ ধরার ট্রলারই প্রচুর মাছ নিয়ে ঘাটে আসছে। বিগত কয়েক বছর এরকম মাছ ধরা পড়েনি। এবছর মনে হয় ভালই লাভ করতে পারব। মাছের দামও তুলনা মূলক কম বলে তিনি জানান।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লে. এফ এ রউফ জানান, জেলেদের নিরাপত্তায় সমুদ্রে কোস্টগার্ড নৌবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।
জেলা মৎস্য বিভাগের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানিয়েছেন, মৎস্য অধিদফতরের কার্যকরী পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা, প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা, জাটকা সংরক্ষণ, জেলেদের ভিজিএফ, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম