কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গতকাল রবিবার মাত্র ১ ঘণ্টার বৃষ্টিতে কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।এতে বাসাবাড়ি, দোকানপাট, হাসপাতাল ও বিভিন্ন কার্যালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এ ছাড়া নালায় ময়লা জমে থাকার কারণে পানি নামতে না পারায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে করে মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। খবর প্রথম আলো অনলাইনের।
নগরের পশ্চিম বাগিচাগাঁও ডায়াবেটিক হাসপাতাল, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, কুমিল্লার দুই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বাসভবন, ঝাউতলা খ্রিষ্টান পাড়া, দক্ষিণ চর্থা, রেসকোর্স, বিসিক শিল্পনগরী ও স্টেডিয়াম এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার ভবনের নিচতলায় পানি জমে আছে। কোথাও কোথাও দোকানের ভেতরে পানি ঢুকে গেছে। সড়কের মধ্যে হাঁটুসমান পানি। ছোটরা জেলখানা সড়কের মধ্যে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্টেডিয়াম এলাকার কাঠ ও ইলেকট্রনিকসের দোকানে পানি ঢুকে জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। সেখানকার সড়কে পানি থই থই করছে।
নগরের ঝাউতলা এলাকার বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, বাসাবাড়ি থেকে সড়ক উঁচু হওয়ার কারণে পানি সরতে পারছে না। একই সঙ্গে এ এলাকার সড়কের এক পাশে নালা থাকলেও অন্য পাশে নালা নেই। ফলে পানি নামতে পারছে না। এটা অনেক দিনের সমস্যা। এ সংকট দূর করার জন্য কোনো সমন্বিত উদ্যোগ নেই।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর বলেন, নগরের পানি নামার পথগুলো রুদ্ধ করে দেওয়ার কারণে এ অবস্থা হয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ ও আইন না মানার কারণে জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা নগরে ১৭৭ দশমিক ১৪ কিলোমিটার নালা আছে। এর মধ্যে ৬৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পাকা। বাকি অংশ কাঁচা।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. নূরুল্লাহ বলেন, কয়েক দিন পরপরই নগরের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়। জনগণ যদি নালার মধ্যে ময়লা না ফেলে তাহলে সহজে নালা দিয়ে পানি সরতে পারে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা দরকার।
কৃপ্র/ এম ইসলাম