কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি বছর সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হলেও চামড়া কিনছেন না ব্যবসায়ীরা। চামড়া মজুদ থাকা ও লবণের দাম বেড়ে যাওয়াকেই কারণ বলছেন তারা। আর বৃষ্টিতে ভেজা চামড়া নির্দিষ্ট সময়ে লবণ মাখানো না হলে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে লাভের আশায় বেশি দামে চামড়া কিনে বিপাকে পড়ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। খবর সময় নিউজ অনলাইনের।
বছর জুড়ে পশুর চামড়া কিনলেও প্রায় ৬০ শতাংশ চামড়া কোরবানি ঈদে কিনে থাকেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। ঈদুল আযহা বড় একটি মৌসুম হওয়ায় মূল ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি এসময় চামড়া ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ।
আর কেউ যাতে লোকসানের শিকার না হোন, সে জন্য প্রতিবছর চামড়া দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তবে বিগত চার বছরের মধ্যে চলতি বছর সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু চামড়া মজুদ থাকা ও লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর চামড়া কিনতে অনুৎসাহী ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পাড়া মহল্লা থেকে প্রতি পিস চামড়া এক থেকে দেড় হাজার টাকায় কিনে লোকসানে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, মহল্লার মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে কেনা হলেও তাদের থেকে ব্যবসায়ীরা সেই দামে কিনছেন না।
তবে এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধিক লাভের আশায় কিছুটা প্রতিযোগিতা করে চামড়া কিনে থাকে এসব মৌসুমি ব্যবসায়ী। এক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান দেখে কেনার পরামর্শ তাদের। অন্যদিকে বৃষ্টিতে ভেজা এসব চামড়া নির্দিষ্ট সময়ে লবণ মাখানো না হলে চামড়া বড় একটি অংশ নষ্টের আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
কৃপ্র/ এম ইসলাম