কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লিলাভুমি
। পর্যটকদের আকর্ষণের এই কেন্দ্রবিন্দুতে এবার হবে জোছনায় উৎসব। দেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে আরো পরিচিত করে তুলতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন।
আগামী ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর হাওরের থৈ থৈ নীলাভ জলে প্রকৃতিপ্রেমীরা উপভোগ করতে পারবেন আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার সৌন্দর্য। মাঝ হাওরে স্থাপিত ভাসমান মঞ্চে রাতভর বাউলা গানের আউলা সুর ঢেউ খেলবে হাওরের অবারিত জলে। দু‘দিন, এক রাতের আয়োজনে জোছনা উপভোগের পাশাপাশি থাকবে নৌবিহার ও পাহাড় দর্শনের ব্যবস্থা। নৌবিহারের সময় টাঙ্গুয়ার হাওরের অনন্য জীব-বৈচিত্র্য সোয়াম ফরেস্ট হিজল, করচ আর নলখাগড়ার অনন্য সৌন্দর্য চোখে পড়বে।
রামসার সাইট টাঙ্গুয়ার হাওরে নামমাত্র খরচ পরিশোধ করে যে কেউ এই উৎসবে অংশ নিতে পারবেন। তাদের দুই দিন, এক রাতের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করবে আয়োজক কমিটি। পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল এ বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘উৎসবে অন্তত ১০ হাজার পর্যটকের অংশগ্রহণ আশা করছি। দূর দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হবে। বিশেষভাবে নির্মিত নৌকায় তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। উৎসবের নিরাপত্তায় থাকবে অর্ধশত পুলিশ ও একশ‘ স্বেচ্ছাসেবী। নিরাপত্তার জন্য সীমন্ত এলাকায় সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। দেশের পর্যটন সম্ভাবনা প্রচার ও হাওরের অবারিত সৌন্দর্য বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে তাদের এমন আয়োজন। যাতে মানুষ টাঙ্গুয়ার হাওরের অনন্য জীববৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন’।
সুত্র/বাসস/ কৃপ্র/এম ইসলাম