কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ঈদুল আজহার উৎসবকে ঘিরে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে পর্যটন শহর রাঙামাটিতে। নতুন রুপে সেজেছে পর্যটন নগরী রাঙামাটি। এবার পর্যটকদের ভিড় জমেছে নতুন গড়ে ওঠা পর্যটন ক্ষেত্র রাঙামাটি জেলার সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যন্ত। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে সাজেকভ্যালিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্বমানের পর্যটন অবকাঠামো।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাজেকভ্যালিতে গড়ে উঠেছে উন্নতমানের পর্যটন স্থাপনা ও অবকাঠামো। সাজেকভ্যালি এমন নৈসর্গিক যেখানে বিস্তৃত উঁচু পাহাড় জুড়েছে সবুজ প্রান্তরে। সাজেকভ্যালি এখন বাংলাদেশের পর্যটনের জন্য অপার সম্ভাবনাময় অঞ্চল। কাজে লাগালে এটি হবে বাংলাদেশের দার্জিলিং।
ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়বেষ্টিত বিশাল উচুভূমির ওই সাজেকভ্যালির অবস্থান বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে। উপজেলা সদর থেকে যার দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। পাহাড়ে পর্যটন শিল্পের এ অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সাজেকে পর্যটকদের অবকাশ যাপনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে গড়ে উঠেছে চমৎকার পর্যটন অবকাঠামো রইইলুই রিসোর্ট।
দেশের অন্য অঞ্চলগুলো থেকে পার্বত্যাঞ্চলে ঈদ উৎসব অনেকটা ব্যতিক্রমী। উৎসবে বাঙালি মুসলিম সম্প্রদায় ছাড়াও মেতে ওঠে পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীসহ অন্য সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও সম্প্রদায়ের নর-নারী। ঈদ উৎসব পরিণত হয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলন ক্ষেত্রে। জাতিতে জাতিতে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে ঘটে মিলনের মহাসমারোহ। রাঙামাটি সরকারি পর্যটন ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, প্রতি বছর ঈদ উৎসব ঘিরে গোটা কমপ্লেক্স উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। দলে দলে আপনজন ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে যায় স্থানীয় লোকজনও।
রাঙামাটি শহরে সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সের মোটেল ছাড়াও রয়েছে অনেকগুলো ভালোমানের আবাসিক হোটেল। সেগুলোর মধ্যে হোটেল সুফিয়া, গ্রিন ক্যাসেল, আল মোবা, নীডস হিলভিউ, প্রিন্স উল্লেখযোগ্য। এসব আবাসিক হোটেল এখন পর্যটকদের দখলে। হোটেল প্রিন্সের মালিক ও রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. নেছার আহম্মদ বলেন, তার হোটেলে সবগুলো কক্ষ আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বুকিং হয়ে গেছে। এখন আর কোনো রুম খালি নেই। অন্যদিকে সরকারি রেস্ট হাউসগুলোতেও পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে।
সুত্র/ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম