জ ই মাসুদ : বিপুল সম্ভাবনার পরও গত কয়েক বছর ধরে কমছে প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানি। এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক বছরে বিশ্ববাজারে চামড়ার দাম কমেছে ৩৫ ভাগ। যে কারণে মন্দা দেখা দিয়েছে ব্যবসায়। হাজারীবাগ থেকে সাভারে চামড়া শিল্প সরিয়ে নিতে র্দীর্ঘসূত্রিতার কারণেও বাংলাদেশ থেকে চামড়া কিনতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন বিদেশী ক্রেতারা।
দেশে বৃহৎ আকারে চামড়া শিল্পের বিকাশ ঘটে সত্তর এর দশকে। প্রক্রিয়াজাত দেশিয় চামড়ার মান ভালো হওয়ায় এর চাহিদাও বাড়ে বিশ্ববাজারে। তাই অল্প সময়েই সরকারের অগ্রাধিকার পাওয়া রপ্তানি-খাতের তালিকায় স্থান পায় এ শিল্প।
কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান,রপ্তানি পণ্যের তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকলেও বিশ্ববাজারে দেশিয় চামড়ার অংশ দুই শতাংশের কম। দিনে দিনে চামড়াশিল্পে কমপ্লায়েন্সের চাহিদা বাড়ায় আরো খারপের দিকে যাচ্ছে প্রক্রিয়াজাত চামড়া। যোগন ঠিক থাকলেও বিক্রি কম থাকায় তাই বাড়ছে মজুদ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রক্রিয়াজাত চামড়া রপ্তানি থেকে আয় আসে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। পরের অর্থবছরেই তা কমে যায় আটশো কোটি টাকা। গেল অর্থবছরে এটি আরো কমে দাড়িয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। ব্যবসায়ীরা স্বীকার করছেন, চামড়া রপ্তানি বাড়াতে পরিবেশবান্ধব শিল্প নগরীতে ট্যানারি স্থানান্তরের কোন বিকল্প নেই। তবে দেড় দশকেও তাতে গতি আসেনি।
কৃপ্র/ জ ই মাসুদ/ কে আহমেদ