‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়ম’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে আকস্মিকভাবে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে বিদ্যানন্দ বাজারসহ তৈয়বখাঁ, চতুরা, রতি, হংসধর, মন্দির ও পাড়ামৌলা গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে ডাংরারহাট ও পাড়ামৌলা গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের ঈদের আনন্দ উত্সব তিস্তা নদীর সঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। তারা চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। অনেকে বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়মের কারণে ব্লক, বালুর বস্তা, কার্পেটিং ধসে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, তিন বছর এ কাজ তাদের পর্যবেক্ষণে থাকবে। তৈয়ব খা, চতুরা, রতি, হংসধর, মন্দির ও পাড়ামৌলা গ্রাম এলাকায় নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বিদ্যানন্দ বাজার ও মসজিদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
হুমকির মুখে রয়েছে ডাংরারহাট আজিজিয়া আলীম মাদ্রাসা, ডাংরারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা, নুরানী মাদ্রাসা, কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডাংরারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাঝাপাড়া বালিকা মাদ্রাসা, বিদ্যানন্দ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মসজিদ মন্দির, বেড়িবাঁধ ও ডাংরারহাট হয়ে রাজারহাট পাকা সড়ক। ওই সব এলাকার সহস্রাধিক পরিবার চরম উত্কণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম জানান, ভাঙন রোধে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড ডাংরারহাট বাঁধ হয়ে মন্দির আদর্শ গ্রাম পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার চার কোটি ২৪ লাখ ২৩ টাকা ও ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জলবায়ু প্রকল্পের কাজ আগামীতে শুরু হবে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক অনলাইন/ কৃপ্র / এম ইসলাম