কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ জয়পুরহাট জেলায় ২০১৫-২০১৬ ফসল উৎপাদন মৌসুম খরিপ-১ এর আওতায় ১৮০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন মরিচের চাষ হয়েছে। এতে ৩ শ ৬০ মেট্রিক টন মরিচ উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করছে কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, এবার ১ শ ৮০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন মরিচের চাষ হয়েছে কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৫ হেক্টর । যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর বেশী। মরিচ চাষে উদ্বৃত্ত জয়পুরহাট জেলায় সব রকমের মরিচের চাষ হয়ে থাকে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন মরিচের হাইব্রিড জাত উল্লেখযোগ্য। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এবার অতি বৃষ্টিপাত না থাকার কারণে মরিচ ভাল হয়েছে এবং মরিচের দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা খুশি।
বর্তমানে জেলা শহরসহ স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি। দেড়-দু’ সপ্তাহ আগে এ মরিচ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
স্থানিয় কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলা ভিত্তিক গ্রীষ্মকালীন মরিচ চাষের মধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট সদর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ৯০ হেক্টর, আক্কেলপুরে ২০ হেক্টর ও ক্ষেতলাল উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও কালাই উপজেলায় ১০ হেক্টর জমি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) কৃষিবিদ তাহেরুল ইসলাম বাসস’কে বলেন, চলতি খরিপ-১ ফসল উৎপাদন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হেক্টর অতিরিক্ত জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন মরিচ চাষ ও সংরক্ষন বিষয়ে কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কৃপ্র / এম ইসলাম