কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চীনা উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে কৃষি ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহবান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বৃহস্পতিবার চীন সফররত ডিসিসিআই নেতারা কুনমিংয়ে চেংগং নিউ ডিস্ট্রিক এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কমিটির উপ-নির্বাহী পরিচালক লি রংহাউয়ের সাথে মতবিনিময়কালে এই আহবান জানান।
বর্তমানে ডিসিসিআই সহ-সভাপতি খ. আতিক-ই-রাব্বানীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল চীন সফর করছেন। মতবিনিয়মকালে আতিক-ই-রাব্বানী বলেন, চীনের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিশেষ করে কৃষি ও তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন।বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং প্রতিবছর বিপুল পরিমান তরুণ ও দক্ষ শিক্ষার্থী এ খাতে নিয়োজিত হচ্ছে।
ডিসিসিআই সহসভাপতি বলেন,চীনা ও বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।তিনি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণে দুদেশের মধ্যে সরাসরি রেল ও সড়ক পথে যোগাযোগ স্থাপনের প্রস্তাব দেন।
চেংগং নিউ ডিস্ট্রিক এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কমিটির উপ-নির্বাহী পরিচালক লি রংহাউ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাণিজ্য সম্প্রসারণে চীন সরকার ‘ওয়ান ওয়ে-ওয়ান বেল্ট’ নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় চীনের কুনমিং শহরটি হবে দক্ষিণ-এশিয়া অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের মূল কেন্দ্রবিন্দু। তিনি এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় চেংগং ডিস্ট্রিক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র চেয়ারম্যান জু লিসু বলেন,ভৌগোলিক দিক থেকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত।এখানে প্রচুর উর্বর সমতল ভূমি রয়েছে এবং কৃষি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।
তিনি জানান, চীনের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের কৃষি খাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং বিনিয়োগে অত্যন্ত আগ্রহী। তিনি বলেন, চীনের কুনমিং অঞ্চল কৃষি ও ফুল চাষের জন্য আদর্শ স্থান এবং এ অঞ্চলে সারা বছর নানা ধরনের ফুলের চাষ হয়।তিনি বাংলাদেশের ফুল ব্যবসায়ীদের কুনমিং থেকে ফুল আমাদনির আহবান জানান।
ডিসিসিআই প্রতিনিধিদলে অন্য সদস্যরা হলেন- সংগঠনের পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, আসিফ এ চৌধুরী, মোঃ আলাউদ্দিন মালিক ও রিয়াদ হোসেন এবং মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র / এম ইসলাম