কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, সরকারের রপ্তানিবান্ধব নীতি ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদানসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি গতকাল সংসদে জাতীয় পার্টির সদস্য বেগম মাহজীবন মোরশেদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমসমূহ হচ্ছে- যুগোপযোগী রপ্তানি নীতি প্রণয়ন, শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা, সেবা সহজীকরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ, বাণিজ্যিক উইংকে কার্যকর করা, মানব সম্পদের উন্নয়ন, এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, নগদ সহায়তা প্রদান ও আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা।
মন্ত্রী বলেন, এছাড়া বাণিজ্য মিশন প্রেরণ, ঔষধ উৎপাদন, রপ্তানি ট্রফি প্রদান, সার্ভিস সেক্টরকে রপ্তানির আওতায় আনয়ন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রপ্তানিমুখী এসএমই খাতের উন্নয়নের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা। তিনি বলেন, ‘প্রচারই প্রসার’-এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিগত সাত বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ও একক দেশীয় পণ্যের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমাবার লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্প্রদান করে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূর করা হয়েছে। সরকারি দলের সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহ’র অপর এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার এজিওএ ‘আফ্রিকান গ্রোথ অপরচুনিটি এ্যাক্ট’র মাধ্যমে আফ্রিকার স্বল্পোন্নত দেশসমূহকে শুল্কমুক্ত/ বাজার সুবিধা প্রদান করে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ এশিয়ার স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে এই সুবিধা প্রদান করা হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে পুনরায় জিএসপি সুবিধাভুক্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ এ্যাকশন প্লান-২০১৩’ প্রতিপালনের পরামর্শে সরকার ইতোমধ্যে এ্যাকশন প্লানের প্রায় সকল ইস্যু বাস্তবায়ন করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ যথাযথভাবে কার্যকর হচ্ছে। ইতোমধ্যে সকল বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে (৩টি পার্বত্য জেলা ব্যতিত) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয় স্থাপন করে এই আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম