কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শরীয়তপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। প্রতি বছরই জেলার কৃষক উন্নত জাত আবাদ করে লাভবান হওয়ায় বছর বছর বাড়ছে রোপা আমন আবাদ। এখন বিরামহীনভাবে চলছে পরিচর্যার কাজ। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলনের আশা করছে কৃষক ও স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
শররীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, জেলার ৬টি উপজেলায় রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৮শ’ ২০ হেক্টরে। শরীয়তপুর সদর উপজেলা ৪০১ হেক্টরে, নড়িয়া উপজেলায় ৩১১ হেক্টরে, ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ৪৪৫ হেক্টরে, ডামুড্যা উপজেলায় ১ হাজার ৮৬৭ হেক্টরে, গোসাইরহাট উপজেলায় ৩ হাজার ৫৩৬ হেক্টরে ও জাজিরা উপজেলায় ২৫১ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। ব্রিধান-৫১,৫২,৬২,৭১,৭৩সহ স্থানীয় জাতের ধান আবাদ করেছে কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর জানিয়েছে এবার জেলায় রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭শ’ ৪৫ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ৯শ’ ৮১ মেট্টিকটন ধরা হলেও অধিক জমিতে রোপা আমন আবাদের ফলে ১৭ হাজার ৯শ’ ৮০ মেট্টিকটন চাল উৎপাদন হবে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার কোটাপাড়া গ্রামের কৃষক আবু তাহের খান বলেন, গত বছর আমি কৃষি বিভাগের পরামর্শে ও কারিগরি সহযোগিতায় ৪ বিঘা জমিতে ব্রিধান-৫২ জাতের রোপা আমনের আবাদ করে ৩০ মণ ফলন পেয়েছি। ভালো ফলন পাওয়ায় এবার আমি ৭ বিঘা জমিতে রোপা আমন আবাদ করেছি। আমার গত বছরের ভালো ফলন দেখে আশ পাশের অনেক কৃষকই এবার বেশি জমিতে উন্নত জাতের রোপা আমন আবাদ করেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শরীয়তপুরের উপ-পরিচালক মো: কবির হোসেন বলেন, এবার বার বার বন্যা ও বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ার ফলে আবাদ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে এখন আবহাওয়া রোপা আমনের অনুকূলে থাকার ফলে একটু বিলম্বিত আবাদ ফলনে কোন রূপ প্রভাব ফেলবে না। জেলার কৃষকরা কাংখিত ফলন পাবে বলে আমরা আশাবাদি।
সুত্রঃ সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম