কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মাছের উচ্ছিষ্টও হতে পারে বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটি উৎস। বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন বলছে, মাছের আঁশ, চিংড়ির খোসাসহ প্রতিদিন মাছ থেকে পাওয়া বর্জ্যের বাৎসরিক বাজারমূল্য প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। যা দেশের পুরো মৎস্য খাত থেকে অর্জিত আয়ের সমান। কেবল জনসচেতনতা ও সরকারের নীতিগত সহায়তা পেলেই মাছ বর্জ্যে থেকেই আসতে পারে রফতানি আয়ের একটি বড় অংশ।
গেল অর্থবছরে দেশে প্রায় ৩৫ লাখ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়েছে। যা থেকে আঁশ ও বায়ুথলি’সহ অপ্রয়োজনীয় অংশের বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন বলছে, মৎস্য বর্জ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ড’সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু এ নিয়ে প্রচারণার ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো অভাব রয়েছে। এতে করে মূল্যবান এ বর্জ্য ভাগাড়েই থেকে যাচ্ছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ২০১০-১১ অর্থবছরে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি শুরু হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এখাত থেকে ২০লাখ ৪৬ হাজার ডলার আয় হলেও পরবর্তী অর্থবছর থেকে রপ্তানি আয় কমতে থাকে। গেল অর্থবছরে এখান থেকে রপ্তানি আয় কমে দাড়ায় ৫ লাখ ৫৫ হাজার মার্কিন ডলার।
গত ৬ অর্থবছরে মাছের আঁশ ও চিংড়ির খোসা রপ্তানির পরিমাণ:
সাল– পরিমাণ রপ্তানি আয়
২০১০-১১————৮৩৮ মেট্রিক টন—–৮লাখ ৫ হাজার ডলার।
১১-১২—————২৭৫৮ মে. টন——১৭ লাখ ৯৮ হাজার ডলার।
১২-১৩—————২৫৯৮ মে. টন——১৭ লাখ ৯১ হাজার ডলার।
১৩-১৪—————২৩৯৩ মে. টন——২০ লাখ ৪৬ হাজার ডলার।
১৪-১৫—————১২৯৭ মে. টন —— ৮ লাখ ৭৫ হাজার ডলার।
১৫-১৬—————১০১৩ মে. টন——-৫ লাখ ৫৫ হাজার ডলার।
রপ্তানির পরিমাণ কমার পেছনে ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদ হার এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়ার অভিযোগ করলেন, রপ্তানিকারকরা।
তবে, অপ্রচলিত এসব পণ্যে সবধরনের সহায়তার আশ্বাস দিলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
শুধু আশ্বাস নয়, প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চান, মাছের আঁশ ও চিংড়ির খোসা’সহ অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানিকারকরা।
সুত্রঃ সময় নিউজ/ কৃপ্র/ এম ইসলাম