কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গাধা শুধু ভারবাহী পশু নয়। গাধা রপ্তানিযোগ্য পশুও। চীনে গাধার কদর খুব। গাধা থেকে আসে দরকারি জিলাটিন। চীনে ইজিয়াও নামের প্রচলিত ওষুধের প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে গাধার চামড়ার মধ্যে থাকা বিশেষ ধরনের আঠা জিলাটিন। এ ওষুধ অ্যাজমা থেকে ইনসোমনিয়ার মতো নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। চীনে একসময় প্রচুর গাধা পালন করা হত। কিন্তু ক্রমবর্ধমান শিল্পায়নের ফলে প্রচলিত কৃষি ব্যবস্থা থেকে সরে যাচ্ছে চীন। ফলে গাধাও কমছে। গাধার চাহিদা পূরণে চীন তাই আফ্রিকা থেকে গাধা আমদানি করছে।
কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজার, বুরকিনা ফাসোর মতো আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ চীনকে গাধা সরবরাহ করছে। কিন্তু এই গাধা আমদানিতে এখন নানা বাধাও সৃষ্টি হচ্ছে। আফ্রিকার নাইজার চীনে গাধা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এ বছরে নাইজার থেকে ৮০ হাজার গাধা বিক্রি হয়েছে, যা ২০১৫ সালে ছিল মাত্র ২৭ হাজার। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধারা চলতে থাকলে দেশটিতে গাধা সংকট দেখা দেবে। এর আগে চলতি বছরের আগস্ট মাসে বুরকিনা ফাসো একই পদক্ষেপ নিয়েছিল। কারণ ছয় মাসে দেশটির ১৪ লাখ গাধার মধ্যে ৪৫ হাজার হত্যা করা হয়েছিল।
উভয় ক্ষেত্রেই গাধার দাম বেড়েছে এবং দেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার আয় বেড়েছে। কিন্তু এর পরিণামও গুনতে হচ্ছে তাদের।
গাধা মেরে ফেলায় শুধু এই পশুর সংখ্যাই কমছে না, পাশাপাশি দেশগুলোর পরিবেশ ও অর্থনীতির ওপরেও প্রভাব পড়ছে। কসাইখানার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বাড়তে শুরু করেছে। বুরকিনার ব্যালোলি গ্রামবাসীরা গাধা হত্যার প্রতিবাদে কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছে।