কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে দুইটি ইউনিয়নে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি, আবাদি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নায়ন বোর্ড (পাউবো) বালু ভর্তি জিও বস্তা বাসের পাইলিং দিয়ে ভাঙনকবলিত এলাকা রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।খবর ইত্তেফাক অনলাইনের।
গত ১ সপ্তাহে রাক্ষসী তিস্তা বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ের পাড়ামৌলা তৈয়বখাঁ, মন্দির চতুরা রতি গাবুর হেলান মৌজার অর্ধেক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অপরদিকে ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের চর গতিয়াসাম নাকেন্দা বুড়িরহাট চর খিতাবখাঁ মৌজার অর্ধেক তিস্তা নদীগর্ভে চলে যায়। এছাড়া ডাংরারহাটে ছয়টি ক্রসবাঁধ, দুইটি বেড়িবাঁধ, তৈয়বখাঁয় একটি রেড়িবাঁধ, বুড়িরহাটে একটি ক্রসবাঁধ, ১০টি সরকারি প্রাইমারি স্কুল, ডাংরারহাট হাফিজিয়া মাদ্রাসা, নুরজাহান শিশু সদন, নূরানী মাদ্রাসা একটি, আলিম মাদ্রাসা, পাঁচটি দাখিল মাদ্রাসা, চারটি উচ্চ বিদ্যালয়, ২০টি মসজিদ, দুইটি মন্দির হুমকির মুখে রয়েছে।
বাস্তুহারা অসহায় পরিবারগুলো একটু ঠাঁই পাওয়ার আশায় বিভিন্ন রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় বেশ কয়েকবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম পরিদর্শন করলেও অসহায় পরিবারগুলোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়ায়নি বলে পরিবারগুলো জানিয়েছেন। অসহায় পরিবারগুলোর দাবি “আমরা ত্রাণ চাই না, নদী খনন চাই” এদিকে কুড়িগ্রাম পানি উন্নায়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে তৈয়বখাঁ ডাংরারহাট ও গতিয়সাম এলাকায় বাসের পাইলিং বালুর বস্তা ফেলছেন। কিন্তু অন্যান্য ভাঙনকবলিত এলাকায় পাউবো এ ভাঙন রোধে কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম