কৃষি প্রতিক্ষণ ভোলা : উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ইলিশ প্রাপ্তির সাথে সাথে বেড়ে গেছে জলদস্যুদের উপদ্রব। অপহরণ আর মুক্তিপণ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভোলার মনপুরার ইলিশ শিকারিরা। সম্প্রতি দস্যুদের গুলিতে মারা গেছে ২ জেলে। ২৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে আরো শতাধিক।
ট্রলার, জাল, মাছসহ অপহরণ করা অর্ধ শতাধিক জেলের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে কোটি টাকার মুক্তিপণ। তবে আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী বলছে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলছে।
জাল ফেললেই মেঘনা নদীতে ইলিশ মিললেও মনপুরার ঢালচর থেকে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ পর্যন্ত মেঘনায় জাল ফেলার সাহস পাচ্ছে না জেলেরা। চাঁদা ও মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষে হাতিয়া অঞ্চলের জলদস্যু আলাউদ্দিন, নাজিম, কৃষ্ণা ও রুবেল বাহিনী গত ২ মাসে কমপক্ষে ৪০ বার হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে।
হামলাকারীদের গুলিতে মনপুরার ২ জেলে মহসিন ও কালাম মাঝি মারা গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে বরিশাল হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুনছে আরো ৬ জন। জাল, মাছ ট্রলারসহ ৫২ জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে। এতে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠার মধ্যে আছে জেলে ও ব্যবসায়ীরা।
জলদস্যুদের কারণে জেলেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জানিয়ে ডাকাতের কবল থেকে জেলেদের রক্ষার দাবি জানিয়েছেন ভোলা মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার চৌধুরী।
ডাকাত নিয়ন্ত্রণ করে ইলিশ ধরার পরিবেশ সৃষ্টি করতে দিনরাত টহলের পাশাপাশি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানালেন ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) এম. নাজিউর রহমান।
আর জলদস্যুদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে অভিযান জোরালো করার কথা জানালেন ভোলা পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন।
জলদস্যুদের কাছে থেকে অপহৃত ১৩ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। আর কোস্টগার্ড অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে ৮ জলদস্যুকে।
কৃপ্র/ ভোপ্র/কে আহমেদ