কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নওগাঁর বরেন্দ্র ভূমির পত্নীতলায় ‘প্যাশন’ ফল চাষের অপার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে । এই ফল থেকে ট্যাংয়ের মতো শরবত তৈরি হয় বলে দেশে ট্যাং ফল নামেও এর পরিচিতি আছে। ইতোমধ্যে একটি গাছে ১৮/২০ ফল ধরেছে। এছাড়া আরো প্রায় এক/দেড়শ’ ফুল ধরেছে। উপজেলার দিবর ইউনিয়নের রূপগ্রাম এগ্রো ফার্মে চাষ হচ্ছে সুস্বাদু বিদেশি ফল ‘প্যাশন’।
ফার্মের পরিচালক সোহেল রানা জানান, তিনি ২০১৫ সালে ঢাকা জাতীয় বৃক্ষমেলা থেকে প্যাশন ফলের একটি কাটিং চারা এনে খামারে রোপণ করেন। লতানো এই গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে তিনি গাছের জন্য একটি মাচা করে দেন। এক বছর পর গত জুলাই মাস থেকে গাছে ফুল ফোটা শুরু করে। প্রথমদিকে গাছে অনেক ফুল ফুটলেও এর কোনোটিই ফলে পরিণত না হয়ে ঝরে যেত।
জেলার সাপাহার উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাবুল আকতার জানান, সোহেল রানাকে বিভিন্ন সময় এই ফল চাষে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এই ফল চাষে সফলতা পাওয়া গেছে। এর ফলে এই ঠাঁ-ঠাঁ বরেন্দ্র এলাকার হাজার হাজার পতিত জমিতে চাষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল আলম জানান, প্যাশন ফলের উত্পত্তি হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার রেইন ফরেস্টের আমাজান অঞ্চলে। বিশেষ করে ব্রাজিল এবং তদসংলগ্ন প্যারাগুয়ে ও উত্তর আর্জেন্টিনাতে। প্যাশন ফল একটি বহুবর্ষজীবী লতা জাতীয় উদ্ভিদ। প্যাশন ফল দুই ধরনের। পার্পল প্যাশন ফল (Passiflora edulis) এবং হলুদ প্যাশন ফল (Passiflora edulis var flavicarpa)। পার্পল প্যাশন ফল হতে প্রাকৃতিক মিউটেশনের মাধ্যমে হলুদ প্যাশন ফল উত্পত্তি হয়েছে। যা আকারে ও গুণাগুণে মাতৃ পার্পল প্যাশন ফল থেকেও উন্নত।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সত্যব্রত সাহা জানান, জেলায় ‘প্যাশন’ ফলের বেশ কয়েকটি গাছ থাকলেও একটিতে সাফল্য পাওয়া গেছে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক / কৃপ্র/ এম ইসলাম