কৃষি প্রতিক্ষন রিপোর্ট : এবছর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় ,এবং দাম অন্যান্য বছরগুলোর তুলনায় কম, থাকায় বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে ইলিশ খাওয়ার পরেছে ধুম । মৎস্য অধিদপ্তরের মতে, প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় উপযুক্ত অর্থনৈতিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। এজন্যই দেশের এই রুপালী সম্পদটি রপ্তানির পক্ষে মত দিয়েছে অধিদপ্তর।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ সুপারিশ জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব সৈয়দ আরিফ আজাদ। । তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও ইলিশ রপ্তানির বিষয়টি ইতিবাচক ভাবেই দেখছে বলে জানা যায়।
বাণিজ্য সচিব মো:হেদায়েতুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এ নিয়ে আলাপ-আলোচনাও চলছে। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, বিপুল পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ায় যথেষ্ট দাম পাচ্ছেন না জেলেরা । রপ্তানির অনুমতি পেলে ভালো দাম পাবেনবলে আশা করছেন জেলেরা ।
তাই জেলেদের স্বার্থেই রপ্তানির সুপারিশ করেছেন তাঁরা । অধ্যাপক আবদুল ওহাব (মৎস্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিশের ইকো-ফিশ প্রকল্পের) দলনেতা জানান, আগামী বছর এই পরিমাণে ইলিশ হয়তো না-ও পাওয়া যেতে পারে। তাই,যদি পরপর তিন বছর এই পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যায়, তাহলেই হয়তো রপ্তানির চিন্তা করা যেতে পারে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, দেশে ইলিশের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর আগে ২০১০-১১ সালে ৮ হাজার ৫৩৮ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করে ৩৫২.৪৯ কোটি টাকা এবং ২০১১/১২ সালে ৬ হাজার ১৭৩ মেট্রিক টন রপ্তানি করে আয় হয় প্রায় ২৯৪ কোটি টাকা। চিঠিতে তিনি আরও বলেন, এ বছর ইলিশের এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ি এ বছর দেশে ইলিশের উৎপাদন প্রায় চার লাখ টনেরও বেশি হবে ।যা গত বছর হয়েছিলো ৩ লাখ ৮০ হাজার টন ।
গত জুনে ভারত বাংলাদেশকে ইলিশের রপ্তানি-নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তা মানেনি এই সরকার । বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যবিষয়ক যুগ্ম ওয়ার্কিং গ্রুপের দশম বৈঠকেও এ কথা উঠেছে। বাংলাদেশ নাকচে যে দুটি কারণ দেখিয়েছে তার হলো, এক;আকাশছোঁয়া অভ্যন্তরীণ চাহিদা;আর দ্বিতীয় কারণ, চাহিদা ও জোগানে ঘাটতি।
কৃ/প্র/ জ ই মাসুদ/ এম ইসলাম