কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পঞ্চগড়, জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় কৃষি ফসলের পাশাপাশি পেঁপে, থাই পেয়ারা ও তেজপাতা চাষ করে সফল হয়েছেন শরবত আলী। এসব চাষ করে তিনি জেলায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়াও তিনিই জেলায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে নিজের জমিতে মিশ্র ফল বাগানে পেঁপে, থাই পেয়ারা চাষে এক সফল চাষী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি ৫ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন। আর কয়েকদিনের মধ্যে ২ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন।
কৃষক শরবত আলী জানান, দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তিনি পেঁপে, থাই পেয়ারা ও তেজপাতার মিশ্র বাগান করেন ২৫ বিঘা জমিতে এবং একক ফসলের বাগান হিসেবে ২২ বিঘায় থাই পেয়ারা ও তেজপাতার চাষ করেন। ৭ হাজার রেডলেডি জাতের পেঁপে, ৭ হাজার থাই পেয়ারা ও ৫ হাজার তেজপাতার চারা রোপণ করেন তিনি এ বছরের প্রথম দিকে। এসব চারা রোপণ, জৈবসার, জমি প্রস্তুত ইত্যাদি খাতে তার খরচ হয়েছে ৩ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে তিনি ৫ লাখ টাকার শুধু পেঁপে বিক্রি করেছেন।
এখন তার বাগানে অসংখ্য পেঁপে রয়েছে। প্রতিটি গাছে ২০/২৫ টি পেঁপে শোভা পাচ্ছে। একেকটি পেঁপের ওজন ২ থেকে আড়াই কেজি। প্রথমবারের মতো পেঁপে চাষ করে সফলতা পাওয়ায় কৃষক শরবত ভারী খুশি। তার এই সফলতা দেখে গ্রামের অন্য কৃষকরাও পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষক শরবত আলী আরো জানান, তিনি এ বাগান থেকে পেঁপে বিক্রি করে ১০ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। থাই পেয়ারাও বাজারজাত করতে পারবেন মাস দুয়েকের মধ্যে ।
দেবীগঞ্জ কৃষি অফিস জানান, পেঁপে একটি লাভজনক ফসল। এটির চারা রোপণের মাত্র ৩ মাসের মধ্যেই ফল ধরে। ১৫/২০ দিন পর পর পেঁপে বিক্রি করা যায়। পেঁপে চাষ করে কৃষকরা বেশি লাভবান হতে পারেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল-আল-মামুন জানান, গজপুরী গ্রামের শরবত আলী কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে মিশ্র বাগান করেছেন। পেঁপে, থাই পেয়ারা ও তেজপাতার চাহিদা বাজারে সব সময় বেশি থাকে এবং মূল্যও পাওয়া যায় ভালো। তার দেখাদেখি ওই এলাকার আরও অনেক চাষী আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে এগিয়ে এসেছেন। তিনি জমিতে ফসল ফলিয়ে নিজের ভাগ্য বদলানোর পাশাপাশি এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছেন। তাই কৃষকদের কাছে শরবত আলী একজন সফল চাষীর মডেল।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম