কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বিশ্বের প্রায় ২শ’ দেশের প্রতিনিধি গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ হ্রাসে রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারে এইচএফসিএস’র ব্যবহার কমানোর ব্যাপারে শনিবার সম্মত হয়েছেন। একে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর ক্ষেত্রে এক বিরাট পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। রুয়ান্ডার রাজধানীতে ‘হাইড্রোফ্লোরোকার্বন (এইচএফসিএস) ব্যবহার বন্ধ’ শীর্ষক এক বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রুয়ান্ডার প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী ভিনসেন্ট বিরুটা।
তিনি বলেন, ‘সংশোধন ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’ চুক্তির আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার মিগুয়েল আরিস কানেটে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটা জলবায়ুর জন্য একটা বিরাট বিজয়। গত ডিসেম্বরে প্যারিসে আমরা যে অঙ্গীকার করেছিলাম তা এগিয়ে নিতে আমরা একটি গঠনমূলক পদক্ষেপ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের যে চুক্তি করলাম তাতে শতাব্দী শেষে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমপক্ষে হাফ ডিগ্রি কমবে।’ ১৯৯০ এর দশকে রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারে রাসায়নিকের স্থলে এইচএফসিএস গ্যাস ব্যবহার শুরু হয়। এটা বৈশ্বিক উষ্ণতার ক্ষেত্রে বিপর্যয়কার প্রভাব ফেলে।
বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির তথ্যানুযায়ী, শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এয়ার কন্ডিশনার) ব্যাপক মাত্রায় এইচএফসিএস গ্যাস নির্গমণের জন্য দায়ী। এছাড়া বিশ্বে আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ আরো ৭০ কোটি এয়ার কন্ডিশনার প্রয়োজন হতে পারে।
গত বছর প্যারিস জলবায়ু চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল বৈশ্বিক তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে প্রাক শিল্পায়নের যুগের পর্যায়ে নিয়ে আসা। তবে এইচএফসিএস’র অব্যাহত ব্যবহার এ লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি করছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম