কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ নেত্রকোনার জেলা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত মগড়া নদীর দুই তীর দখল করে গড়ে উঠছে বাড়িঘর আর দোকান পাট। দখলদারদের কবলে পড়ে নদীর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার পথে। এমনিতেই নদী ভরাট হয়ে ছোট হয়ে গেছে। অন্যদিকে বিভিন্ন অংশ দখলে পানি প্রবাহ আরো বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে শহরের প্রাকৃতিক পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।
নেত্রকোনা শহরের স্টেশন রোড, নাগড়া, মালনী রোড, মোক্তারপাড়া, কাটলি এবং সাতপাই এলাকা দিয়ে নদীর দুই তীরই দখল হয়ে গেছে। দখলকারীরা সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করেছে। বিশেষ করে স্টেশন রোড এলাকার দখল চোখে পড়ার মতো। গত ২০ বছরে নদীতে দখলমুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ এবং আদালতের মামলার কারণে তারা নদীকে দখলমুক্ত করতে পারেনি।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ হতেও মানববন্ধন কর্মসূচি করা হয়েছে এবং মগড়া নদীকে দখলমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানও করা হয়েছে। সর্বশেষ চলতি মাসে নদী দূষণমুক্ত এবং দখলমুক্ত করার জন্য ‘নেত্রকোনা উন্নয়নে নাগরিক আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন নৌ শোভাযাত্রা পর্যন্ত করেছে। কিন্তু নদীকে দখলমুক্ত করা যায়নি।
গত আগস্ট মাসে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় মগড়া নদী দখলমুক্ত করতে জনপ্রতিনিধিদের জনমত গ্রহণ করা হয় এবং নদী দখলমুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ কাজ দৃশ্যমান হচ্ছে না।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ড. মোঃ মুশফিকুর রহমানের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তিনি উদ্যোগ নেবেন বলে জানান।
নেত্রকোনার প্রবীণ চিকিত্সক ও সমাজসেবক ডা. এমএ হামিদ খান এ প্রসঙ্গে বলেন, এক সময়ের বিশাল মগড়া নদীতে চর পড়ে এখন এর নাব্যতা হারানোর পাশাপাশি নদীর দুই তীর বেদখল হয়ে গেছে। অবিলম্বে নদীকে দখলমুক্ত করতে প্রশাসনসহ এখন সমাজের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/ এম ইসলাম