কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দিনাজপুরের কয়েকজন মৎস্যচাষী নদীতে খাঁচায় মাছ চাষের মাধ্যমে ব্যাপক সাফলতা পেয়েছে । মোহনপুর আত্রাই নদীর রাবার ড্যামের জলধারায় খাঁচা পদ্ধতিতে গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক মাছের খামার। উৎপাদিত মাছ জেলার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হচ্ছে। সৌখিন মৎস্য চাষীরা নিজেদের পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এই মাছের খামারে। তাদের সাফল্য দেখে অনেকেই ঝুকছেন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষে।
দিনাজপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলো মিটার পূর্বে সদর উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নে মোহনপুর আত্রাই নদীতে দেশের অন্যতম সর্ববৃহত্তর রাবার ড্যাম । এই রাবার ড্যামের জলধারায় চলছে খাঁচায় আধুনিক পদ্ধতিতে মৎস্য চাষ। ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় প্রথমে ২০ জন সুফলভোগীকে ১০টি খাঁচায় মাছ চাষের ব্যবস্থা করা হয় এখনে। তার সাফল্য দেখে এখন ৬০টি খাঁচায় চলছে মাছ চাষ। দিনাজপুর জেলা শহরের ফটো সাংবাদিক জিনাত হোসেন এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য আবু সাঈদ বিপ্লবও এ খামারে খাঁচায় মাছ চাষ করছেন। জিনাত জানান,তিনি অন্যান্যদের সাফল্য দেখে এই সৌখিন মাছ চাষে আগ্রহ হয়েছেন। যেহেতু তার কোন পুকুর নাই,কোন বিনিময় ছাড়াই নদীর পানিতে মাছ চাষের সুযোগ তিনি লুফে নিয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মৎস্য উৎপাদন সংকুচত হলেও রাবার ড্যামের নতুন জলধারায় খাঁচা পদ্ধতিতে আধুনিকভাবে মাছ চাষের সাফল্য দেখে অনেক সৌখিন মৎস্য চাষীরাও এগিয়ে আসছেন। মোহনপুর আত্রাই নদীতে রাবার ড্যামের পানিতে খাঁচা পদ্ধতিকে নেমে পড়েছেন মাছ চাষে। এতে হয়েছে অনেক বেকারের কর্মসংস্থান।
দিনাজপুর সদর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা কালীপদ রায় জানিয়েছেন, ৫ থেকে ৬ ফুট পানির নিচে ৩ মাসের মধ্যেই মাছ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাদের সাফল্য দেখে অনেকে নতুন খাঁচা বসাতে আগ্রহী হয়েছেন। এই আধুনিক মৎস্য খামার দেখতে অনেকেই ছুঁটে আসছেন।
দিনাজপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহ্ ইমাম জাফর সাদেক বলেন,সৌখিন মৎস্যচাষীদের পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে এখানে। মৎস্য খামারে নিয়মিত অনেকে কাজ করছেন। নদী প্রবাহের মিঠাপানিতে উৎপাদিত এ মাছের স্বাদও বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে।খাঁচা পদ্ধতিতে আধুনিক এ মাছের খামার দেখে আশাবাদী তিনি ।
মোহনপুর রাবার ড্যামের পানি ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভাপতি শাহ্ জামাল সরকার জানান,যেহেতু এখানে মাছ চাষ করতে কাউকে টাকা দিতে হয়না। বিনে টাকায় নদীর প্রবাহমান পানিতে মাছ চাষ করা যায়। এপানিতে মাছও তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায়। মাছের স্বাদও ভালো। তাই এখানে মাছ চাষে অনেকে এগিয়ে আসছেন।
নদীতে খাঁচা পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন এ অ লের মৎস্য চাষীরা। তাদের সাফল্য এখন অনেকের অনুপ্রেরণা। সরকারী পৃষ্ঠ-পোষকতা অব্যাহত থাকলে এঅ লে এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ আরও বেড়ে যাবে এমনটাই মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
কৃপ্র/ এম ইসলাম