কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিএমডিএ’র ৭৫তম বোর্ড সভায় বক্তারা বলেন, বরেন্দ্র এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সময়োপযোগী প্রকল্প গ্রহণ করে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। আজ অনুষ্ঠিত এক সভায় বক্তারা এ অঞ্চলে বিশেষ করে ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়ায় এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।
তারা বলেন, বর্তমান চাহিদা মেটাতে । ভূ-উপরিভাগে অধিক পানি প্রাপ্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের এখনই উপযুক্ত সময়। বক্তারা কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যয় হ্রাসসহ পানির অপব্যবহার কমাতে সেচের ওপর আরো সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন। নগরীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বিএমডিএ’র ৭৫তম বোর্ড সভায় এসব অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
সভায় বলা হয়, বর্তমানে চলমান সেচ পদ্ধতিতে ভু-উপরিভাগ ও ভূ-গর্ভস্থ উভয় ক্ষেত্রেই পানির অপব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা জীবকূলের জন্য অনেক হুমকিস্বরূপ। এ অবস্থায় সভায় পানি বিতরণ পদ্ধতি, সেচ স্কিম ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, পান বাজারজাতকরণ পদ্ধতি, পানির উৎস, বিদ্যুতের উৎস, বিকল্প শুষ্কতা সিক্তকরণ (অলটারনেটিভ ওয়েটইং ড্রায়িং) ও পাম্পের প্রকারসহ কিছু বড় ধরনের স্থায়ী ব্যবস্থা বিবেচনায় আনার কথা উল্লেখ করা হয়।
সূত্র জানায়, সভায় বিএমডিএ প্রকল্পের সকল কার্যক্রম ও অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন দেশের উত্তরাঞ্চলের সেচ ব্যবস্থা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান বিএমডিএ ১৪ হাজার ৯০টি বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপের মাধ্যমে ২ লাখ ৬১ হাজার হেক্টর ইরি- বোরোসহ মোট ৭ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করছে। এই সেচ প্রকল্পের আওতায় বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রতিবছর প্রায় ৬ লাখ ১৮ হাজার টন অতিরিক্ত শস্য উৎপাদিত হচ্ছে।
বিএমডিএ চেয়ারম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিএমডিএ’র উপদেষ্টা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি, ইসরাফিল আলম এমপি, অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস এমপি, রেজাউল করিম এমপি, গোলাম মোস্তফা এমপি, আবদুল মালেক এমপি, আখতার জাহান এমপি, সাবেক এমপি ওয়াহেদুর রহমান এবং রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা ও বগুড়া জেলার জেলা প্রশাসকগণ সভায় যোগ দেন।
সভায় আরো গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৮৬ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করে অতিরিক্ত ৭ লাখ ৪০ মেট্রিক টন শস্য উৎপাদনের আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম