কৃষি প্রতিখন ডেস্কঃ ফেনীর সমুদ্র উপকূলীয় সোনাগাজীতে স্থাপিত হচ্ছে দেশের প্রথম সৌর ও বায়ু বিদ্যুেকন্দ্র। গত ৯ আগস্ট জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এটি চালু হলে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। স্থান নির্ধারণের পর এখন চলছে ভূমি অধিগ্রহণের কাজ। ২০০৬ সালে ফেনীর সোনাগাজীতে পাইলট প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষামূলক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চারটি টারবাইন স্থাপন করা হয়।এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার এ প্রকল্প বিভিন্ন সমস্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
অনাবাদি এই চরাঞ্চলে এখন দেশের প্রথম বায়ু ও সৌর বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরচান্দিয়া ও পূর্ব বড়ধলি এলাকায় সরকারি খাস ভূমির এক হাজার ৩৪২ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ইজিসিপিকে এক হাজার একর ও পিডিপিকে ৩৪২ একর জায়গা দেওয়া হবে। এখানে ইজিসিপি ১০০ মেগাওয়াট বায়ু ও ১০০ মেগাওয়াট সৌর এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপন করবে।
ফেনীর জেলা প্রশাসক আমিন-উল আহসান জানান, ইতিমধ্যে ১,৩৪২ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে। যার মধ্যে প্রকল্পের আওতায় প্রায় এক হাজার একর জমি (৯৯৯.৯৬ একর জমি) অধিগ্রহণের জন্য প্রাথমিক কাজ শেষ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আরও ৩৪২ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা অচিরেই তা অধিগ্রহণ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। এ জায়গা বিদ্যুৎ বিভাগের সচিবও দেখে গেছেন।
ফেনী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান জানান, সোনাগাজীতে যে পাওয়ার প্লান্ট হচ্ছে সেটা একটা উপযুক্ত জায়গা। ওখানে বায়ু প্রবাহ খুব বেশি। বায়ু বিদ্যুতের জন্য বায়ু প্রবাহের বিষয় আছে। জায়গাটি যথেষ্ট উপযোগী। ওখান থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ নেওয়ার যথেষ্ট সুবিধা আছে। পিডিবি ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ফেনীর সোনাগাজীর চরাঞ্চলে ইজিসিপি কর্তৃক ১০০ মেগাওয়াট সোলার ও ১০০ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ এবং পিডিপি কর্তৃক ১০০ মেগাওয়াট সোলার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে এই অঞ্চলে বিদ্যুতের উন্নতি হবে।
এখানে বেজা কর্তৃক অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ তথা জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহের যুগান্তকারী উন্নতি হবে। আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি জেনারেশনে বড় ধরনের উন্নতি ঘটবে। প্রকল্পের দায়িত্বশীলদের দাবি, এশিয়া ও আন্তর্জাতিক পরিসরের এটি একটি বড় মডেল। বাংলাদেশের প্রথম এই সর্ববৃহৎ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের মধ্যেই কাজ দৃশ্যমান হতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, এখানে ১০ হাজার একর জায়গায় গড়ে উঠছে বিমানবন্দর, জাহাজ নির্মাণ কারখানা ও অটোমোবাইল সার্ভিসসহ ভারী শিল্প-কারখানা।
সুত্রঃ bd-pratidin.com / কৃপ্র/ এম ইসলাম