কৃষি প্রতিক্ষণ রাজশাহীঃ চলতি বছর আমন মৌসুমে বরেন্দ্র অঞ্চলে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহীর উদ্দ্যেগে কৃষকের মাঝে ব্রি উদ্ভাবিত খরা সহনশীল ধান ব্রি ধান৫৬, ব্রি ধান৫৭, ব্রি ধান৬৬ এবং ব্রি ধান৭১ এর বীজ বিতরন এবং সার সহায়তা দেয়া হয়।
বরেন্দ্র অঞ্চলে খরা সহনশীল ধানের ফলন বেশ ভাল হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহী ও STRASA -IFAD এর অর্থায়নে আলিমগঞ্জ, পবায় ব্রি উদ্ভাবিত খরা সহনশীল ধান চাষে কৃষককে উদ্বদ্ধুকরনে এক কৃষক সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি’র পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মোঃ শাহজাহান কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. তমাল লতা আদিত্য। কৃষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ব্রি, রাজশাহীর প্রধান ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম ।
খরা প্রবন বরেন্দ্রাঞ্চলে খরাসহনশীল ব্রি ধান৫৬ ও ব্রি ধান৭১ জাত দুটির ভাল ফলন দেখে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিসহ সকল কিষান কিষানি অবিভূত হন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বলেন উপরোক্ত জাত দুটি বরেন্দ্র অঞ্চলে চাষকৃত স্বর্না অপেক্ষা প্রায় ৩০ দিন আগে কর্তন করা যায় ফলে কৃষক তার জমিতে অনায়াসেই রবি শস্য চাষ করতে পারে। তাছাড়া জাত দুটি খরা সহনশীল হওয়ায় কম পানি ব্যবহার করে অনায়াসেই কাঙ্খিত ফলন পাওয়া সম্ভব।
ড. তমাল লতা আদিত্য বলেন প্রজনন পর্যায়ে ১৫-২০ দিন কোন বৃষ্টিপাত না হলেও খরা সহসশীল জাত দুটি ১৫-১৭ মন বিঘাতে ফলন দিতে সম্ভব এবং বপন থেকে পাকা পর্যন্ত ১০৫-১১৫ দিন সময় লাগে। সভাপতি ব্রি উদ্ভাবিত খরা সহসশীল জাতের ধান চাষে গুরুত্বারোপ করে বলেন আগামী আমন মৌসুমে খরা সহনশীল জাতগুলোর আরও বেশী প্রদর্শনী দেয়া হবে এবং কৃষক যাতে তাদের চাহিদা মত বীজ পেতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উক্ত কৃষক সমাবেশে পবা উপজেলার প্রায় ২০০ কিষান-কিষানি ও স্থানীয় জনপ্রতিনীধি উপস্থিত ছিলেন। কৃষক সমাবেশ আয়োজনের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন ব্রি রাজশাহীর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ আবু সাঈদ এবং সহযোগীতা করেন বৈজ্ঞানিক সহকারী মোঃ নাজমুল হোসাইন নাজু।
কৃপ্র/ এম ইসলাম