কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দুর্যোগ ঝুঁকি ও জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণের জন্য এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি। আজ নয়াদিল্লীতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ে এশিয়ান দেশসমূহের মন্ত্রী পর্যায়ের তিন দিনব্যাপী কনফারেন্সে বাংলাদেশের কান্ট্রি পেপার উপস্থাপনকালে তিনি এ আহবান জানান। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।
এশিয়া মহাদেশের দেশসমূহের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এনজিও, আইএনজিও’র প্রতিনিধিরা কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করছেন। ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজু কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন। ১৬টি দেশের প্রতিনিধিরা এ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। এর পূর্বে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ সহনশীলতাকে সুসংহত করতে প্রত্যেক দেশকে এখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বিশেষত সকল উন্নয়ন অংশীদার, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি ও সহায়তা আরও জোরদার করতে হবে।
এশিয়ান দেশসমূহকে অধিকতর দুর্যোগ প্রবণ উল্লেখ করে তিনি বলেন দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনায় তথ্য আদান-প্রদান প্রক্রিয়া ও প্রযুক্তিগত সহায়তা জোরদার করতে হবে।
বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন বাংলাদেশ বিভিন্ন খাতভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পণা ও কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভূক্ত করছে। বিশেষত গ্রামীণ পর্যায়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, দারিদ্র নিরসন ও সামাজিক নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন সহায়তা তহবিল গঠন করে জলবায়ু সহনশীল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। উত্তরাঞ্চলের নিত্য বছরের বন্যাকে সহনশীল করতে ঘরবাড়ি উঁচু করার পদক্ষেপ নিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্টের ক্যাম্পেইন ফর রিজিলেন্স কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ কোটি দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপক ও দুর্যোগে দ্রুত সাড়াদানে সক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরীর পরিকল্পণা নিয়েছে।
সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্কের আলোকে বাংলাদেশের দুর্যোগ সহনশীলতাকে সুসংহত করতে ৭ম বার্ষিক পরিকল্পণা ও ডেল্টা প্লানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ঢাকা ডিক্লারেশনে গৃহীত ৮টি কর্মপরিকল্পনাকে অনুসরণীয় দলিল হিসেবে গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য তিনি এশিয়ান দেশসমূহের প্রতি আহবান জানান।
সুত্রঃ কৃপ্র/ এম ইসলাম