কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ভারতীয় উপমহাদেশসহ মেক্সিকো ও দক্ষিণ আমেরিকায় কাঁচা মরিচের কদর সবচেয়ে বেশি। খাবারে স্বাদ আর ঝাঁজ আনতে কাঁচা মরিচের তুলনা নেই। ক্যাপসিকাম অ্যানাম জাতের একটি সবজি হলো এই কাঁচা মরিচ। যথেষ্ট গুণ সম্পন্ন এই কাঁচা মরিচ নিয়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন, এটি ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’-এর এক দারুণ উৎস। মাত্র আধকাপ কাটা কাঁচা মরিচে আছে প্রায় ১৮২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, যা আমাদের দৈনিক ভিটামিন সি-এর চাহিদার দ্বিগুণ পূরণ করতে পারবে। আর ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আধা কাপ পরিমাণ কাটা কাঁচা মরিচ বা এর পেস্টে যে পরিমাণ ভিটামিন এ আছে, তা পুরুষদের দৈনিক চাহিদার ২৯ শতাংশ এবং নারীদের দৈনিক চাহিদার ৩৮ শতাংশ পূরণ করতে পারবে। এছাড়া এ পরিমাণ কাঁচা মরিচে আছে আড়াইশ’ মিলিগ্রামের মতো পটাশিয়াম, আর বেশ কিছু পরিমান লৌহ।
বিজ্ঞানীরা বলেন কাঁচা মরিচের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ক্যাপসেইসিন, যা দেহের বিশেষ নিউরোপেপটাইডকে অবদমন করার ক্ষমতা রাখে এবং এভাবে ব্যথা কমাতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ক্যাপসেইসিন ক্রিম স্নায়ুর ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও সোরিয়াসিসে ব্যবহৃত হয়। তাই কাঁচা মরিচে কেবল ঝালই নয়, আছে অনেক উপকারী উপাদান।
গরমের দিন কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়। কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে। কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডোভাস্ক্যুলার সিস্টেমকে কর্মক্ষম রাখে।
নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে। প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না। কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী। কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম