তালিকায় একদম পেছনে রয়েছে পাকিস্তান। দেশটির মোট আয়তনের মাত্র ১ দশমিক ৯ শতাংশ বনাঞ্চল। ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বনাঞ্চল নিয়ে পাকিস্তানের সামনেই রয়েছে মঙ্গোলিয়া। পেছন থেকে তৃতীয় অবস্থান বাংলাদেশের। মোট আয়তনের ২৪ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ বনাঞ্চল নিয়ে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে যথাক্রমে ভারত ও চীন।
বাংলাদেশের এ অবস্থান সম্পর্কে পরিবেশবিদ আতিক রহমান বলেন, গত ৩০-৪০ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সুন্দরবন এলাকায় বনভূমির বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির তুলনায় নতুন করে বন বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। যে কারণে বনভূমি কমে গেছে। তিনি আরও বলেন, বনভূমি ধ্বংস হওয়ার কারণে প্রাকৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। সাইক্লোন বা জলোচ্ছ্বাস থেকে বনভূমি আগে যেভাবে জনপদ ও মানুষকে রক্ষা করত, সেটা এখন কম করতে পারবে। এর সঙ্গে মানুষের জীবন-জীবিকাও জড়িত। জনসংখ্যা বাড়ার কারণে বনভূমি আগের চেয়ে আরও দ্রুত ধ্বংস হবে। তাই বিদ্যমান বনভূমি যাতে নষ্ট না হয় এবং কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্যমতে, এডিবির তালিকায় সর্বশেষ অবস্থানে থাকা পাকিস্তানে ১৯৯০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে খোয়া গেছে ৮ লাখ ৪০ হাজার হেক্টরের বনভূমি। গড়ে বছরপ্রতি এই হ্রাসের হার ৪২ হাজার হেক্টর।
২০০৫ সালে এফএও পরিচালিত বৈশ্বিক বনভূমি সম্পদ পরিমাপের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর মোট স্থলভাগের আয়তনের ৩০ শতাংশ বনভূমি। এরপরও বৃক্ষনিধন চলেছে এবং চলছে। পৃথিবী প্রতিবছর যে পরিমাণ বনভূমি হারাচ্ছে, তার আয়তন ভুটান, ফিজি এবং ব্রুনাইয়ের মোট আয়তনের সমান অর্থাৎ ৬২ হাজার বর্গকিলোমিটারের চেয়েও বেশি এলাকা। এফএওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃক্ষনিধনের ফলে প্রতিদিন পৃথিবী প্রায় ২০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের বনভূমি হারাচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ১৫ বছরে এক কোটি হেক্টর বনভূমি হারিয়েছে। অর্থাৎ এই অঞ্চলে ১৯৯০ সালের পর বনভূমির পরিমাণ কমেছে ১ দশমিক ১ শতাংশ।
সুত্র; প্রথম আলো / কৃপ্র/ এম ইসলাম