কৃষিবিদ এম এস ইসলামঃ নারকেল গাছে নারকেল ধরে না এবং ধরলেও তার গায়ে বাদামী রঙের আঁচড়কাটা দাগ দেখা যায়। কচি নারকেল ঝরে পড়ে, ডাবে পানি থাকে না এবং আংশিক নারকেলের শাস দেখা যায়। অনেকের ধারনা মোবাইল টাওয়ারের ক্ষতিকর রেডিয়েশন এর প্রভাবে কচি নারকেল ঝরে পড়ছে, আসলে এর কোন বিজ্ঞান সন্মত উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। এর আসল কারণ এরিওফিড নামের মাইটস (মাকড়), যা আমরা খালি চোখে দেখতে পারি না।মাইটস মাকড় নারকেল গাছের কচি অংশে বাসা বাঁধে এবং গাছের রস শুষে খায়। ফলে, নারকেল কচি অবস্থায় ঝরে পড়ে, আঁচড়ের দাগযুক্ত বিকৃত নারকেল জন্মায় এবং অপূর্ণাঙ্গ শাস ও পানিশূন্য নারকেল পাওয়া যায়। নারকেল চাষে এটা একটা বিরাট সমস্যা।
সমাধানের উপায়
দুই উপায়ে এর সমাধান করা যায়।
১) নীম–ঘটিত কীটনাশক প্রয়োগ করে: যেমন এজাডিরাক্টিন ০.০০৪% ফল ও গাছে স্প্রে করতে হবে বা ৫% শিকড়ের গোঁড়ায় প্রয়োগ করতে হবে।
২) নীম তৈল বা নীম খৈল ব্যবহার করে:
ক) নীম তেল ২০ মিলি + রসুনের রস ২০ গ্রাম + সাবান ৫ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে গাছের কচি অংশে এবং ফলে স্প্রে করতে হবে। প্রতি বছর প্রতি গাছে ১ থেকে –১.৫ লিটার মার্চ – এপ্রিল,অক্টোবর–নভেম্বর ও ডিসেম্বর–জানুয়ারিতে মোট ৩ বার স্প্রে করতে হবে।
খ) নারকেল গাছের গোঁড়ার সার প্রয়োগ করার সময় গাছ প্রতি ১.২৫ কেজি হারে নীম খৈল (নীম খৈলে ০.১% এজাডিরাক্টিন থাকে) প্রয়োগ করেও এরিওফিড মাইটস দমন করা যাবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে Kbd5 Agro নামে একটি প্রতিষ্ঠান এর প্রতিকার হিসাবে নীম তেল এব খৈল বাজারজাত করছে, এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ ডঃ রুস্তম আলী বলেন আমাদের বাজারজাতকৃত নীম তেল এবং খৈল নারকেলের এরিওফিড মাইটস দমনে অত্যন্ত ফলপ্রসু।
কৃপ্র/ এম ইসলাম