কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে মাদারীপুরের চার উপজেলায় প্রায় ছয় হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাদারীপুর জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে মাদারীপুরে ৮ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৪ হাজার ৫৫০ মেট্রিকটন।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত শুক্রবার থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে অনেক স্থানে আমন খেত তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া বাতাসে ধানগাছ পড়ে গেছে। এভাবে ৫ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪ হাজার হেক্টর জমির ধান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
কালকিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আবুল কালাম এ বছর দুই বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন। ঝড়বৃষ্টিতে তাঁর খেতের সব ধান শুয়ে পড়েছে এবং পানিতে ডুবে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার তিনি হতাশ হয়ে বলেন, ‘ব্যাংকের থোন লোন আর সমিতির থোন কিস্তি আইননা আমন ধান লাগাইছিলাম। ধান ভালোও হইছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে সব শ্যাষ কইরা দিছে। এহন কেমনে টাকা শোধ করুম?’
সদর উপজেলার ছিলারচর গ্রামের কৃষক আবদুল মজিদ বলেন, ‘জমিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছিল। এক সপ্তাহ পর ধান ঘরে তোলতাম। অসময়ে বৃষ্টিতে আমাগো সর্বনাশ করে দিল। ধান বিক্রির টাকা দিয়া জমিতে রবি ফসল করার কথা ছিল। এহন রবি ফসল করার টাকা কোথায় পামু?’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, বৃষ্টিতে জেলার চারটি উপজেলায়ই ধানের ক্ষতি হয়েছে। তবে যে জমির ধান ইতিমধ্যে পেকে গেছে, তা অতি দ্রুত জমি থেকে কেটে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে কৃষকেরা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।
সুত্রঃ প্রথম আলো / কৃপ্র/ এম ইসলাম