কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বকুল মাঝারি থেকে বড় আকারের সুদৃশ্য ও আকর্ষণীয় ফুলগাছ। বহুবর্ষজীবী ফুল বৃক্ষের মধ্যে বকুল অন্যতম। আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে এখনো বড় বড় বহুবর্ষজীবী বকুলফুলগাছ চোখে পড়ে। বৃক্ষজাতীয় এ ফুলগাছ লম্বায় মাঝারি মানের। কা- সরল, চামড়া ধূসর কালো। গাছের উপরি অংশের পরিধি ও শাখা-প্রশাখা গোলাকার আকৃতির হয় এবং এর শাখা-প্রশাখাও অধিক।
শৌখিন ও ছায়া বৃক্ষ হিসেবে বকুল ফুলগাছের জুড়ি নেই। এর পরিবার-ঝধঢ়ড়ঃধপবধব, উদ্ভিদতাত্তি্বক নাম-গবহঁংড়ঢ়ং বষবহমর। পাতার রং উজ্জ্বল কালচে থেকে সবুজ রঙের ও বেশ পুরু। পত্র কক্ষ থেকে ফুল ধরে। ফুল ক্ষুদ্রাকৃতির, ঘিয়ে রঙের, মিষ্টি সুগন্ধে ভরা। মে মাসের শুরুতে গাছে অল্প পরিমাণে ফুল ফোটা শুরু হয়ে জুন মাসে সারাগাছের শাখা-প্রশাখায় অসংখ্য ফুল ফুটতে দেখা যায়। সুরভিত বকুলফুল মালা তৈরিতে খুবই জনপ্রিয়। তাই তো বকুলফুলের মালা ছোট-বড় সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। তাছাড়া ফুল শুকিয়ে গেলেও এর সুগন্ধ নষ্ট হয় না।
ফুল শেষে গাছে ফল হয়। ফলের ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে। তাছাড়া পাকা ফল বিভিন্ন পাখিদের প্রিয় খাদ্য। তাই ফল পাকার সময়ে গাছে নানা জাতের পাখির আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানের সড়ক-মহাসড়ক, রেললাইন, পার্ক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও অন্যান্য স্থানেও কম-বেশি বকুলফুলগাছ চোখে পড়ে। সাধারণত বীজ থেকে বকুলের বংশবিস্তার করা হয় এবং চারাগাছ রোপণের ৭ থেকে ১০ বছরের মধ্যে গাছে ফুল ধরে।
সুত্রঃ যায়যায় দিন / কৃপ্র/এম ইসলাম