কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বার্ডফ্লু আতঙ্ক, দফায় দফায় ডিম, বাচ্চার দাম বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মির্জাপুর উপজেলায় সহস্রাধিক পোল্ট্রি শিল্প খামার হয়ে গেছে। ব্যাংক ও মহাজনদের ঋণে জর্জরিত ওইসব পোল্ট্রি শিল্প মালিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। সরকারিভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার প্রাণি সম্পদ বিভাগ এবং যুব উন্নয়ন অফিস সূত্র জানায়, গত তিন বছর আগেও মির্জাপুর পৌরসভা এলাকা এবং অপর ১৪টি ইউনিয়নে এবং একটি পৌরসভায় লেয়ার ও বয়লারসহ প্রায় ১২শর মতো পোল্ট্রি খামার এবং ২২৫ স্যাট শিল্প ছিল। কিন্তু হঠাত্ বার্ডফ্লু আতঙ্ক দফায় দফায়, খাদ্য, বাচ্চার দাম, ডিম ও মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ খামার বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, উপজেলার মহেড়া, ফতেপুর, জামুর্কী, বানাইল, উয়ার্শী, আনাইতারা, বহুরিয়া, গোড়াই, বাঁশতৈল, আজগানা, তরফপুর, লতিফপুর, ভাওড়া ও ভাদগ্রাম ইউনিয়ন এবং পৌরসভা সংলগ্ন দেওহাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় ওইসব পোল্ট্রি খামার গড়ে ওঠে। এলাকার বেকার যুব সমাজ এবং বিভিন্ন এনজিওর সদস্যরা নিজেদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পোল্ট্রি শিল্পে ঝুঁকে পড়ে। সমাজ সেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অফিস, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর এবং মত্স্য অধিদপ্তর থেকে বেকার তরুণ-তরুণী এবং এনজিও সদস্যরা প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে পোল্ট্রি খামার গড়ে তোলে। অনেকে আবার বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও এবং মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়েও খামার করেন। কিন্তু গত এক বছরে সহস্রাধিক খামার বন্ধ হয়ে গেছে বলে প্রাণি সম্পদ বিভাগ এবং যুব উন্নয়ন অফিস সূত্র জানিয়েছে।
খামারের মালিক ভজন দত্ত, মাহবুব, রহিজ, তারিকুল, সুব্রত দাস, মনিরসহ অনেকেই জানিয়েছেন, খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন। তারা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও বিভিন্ন ব্যাংক এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ঋণ মওকুফের আবেদন জানিয়েছেন। এদিকে মির্জাপুর উপজেলা ছাড়াও দেলদুয়ার, বাসাইল, সখীপুর, নাগরপুর, কালিহাতি, ভূঞাপুর, ঘাটাইল, মধুপুর ও ধনবাড়ি উপজেলায়ও একের পর এক পোল্ট্রি খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সুত্র; ইত্তেফাক / কৃপ্র/ এম ইসলাম