কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পাখির কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেদির হাওড়। প্রতি বছরের মতোই প্রাকৃতিক খাবারে এই অফুরন্ত ভাণ্ডারে আগমন ঘটেছে বালিহাঁস, পানকৌড়ি, বালিলেঞ্জাসহ বিভিন্ন রকম ও ধরণের পাখির। রঙ বেরঙের এই পাখির কলতানে মুগ্ধ অসংখ্য পর্যটক ও পাখি প্রেমী। পাশাপাশি চোরা শিকারির হাত থেকে পাখিদের বাঁচাতে দাবি তুলেছেন তারা। আর পাখি সুরক্ষার জন্য সচেতনতার সঙ্গে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার অনুরোধ জানালেন জেলার প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দিগন্তজোড়া হাওড়ের যতদূর চোখ যায় চারদিকে শুধু রঙ-বেরঙের পাখি।নয়নাভিরাম দৃশ্যই বলে দিচ্ছে প্রকৃতিতে এসেছে নতুন ঋতু। আর শীতের শুরুতেই মেদির হাওড়ে আগমন ঘটেছে বালিহাস, বালিলেঞ্জা, পানকৌড়িসহ দেশ-বিদেশের নানা জাতের অতিথি পাখির।
স্যাঁত স্যাঁতে কাদা পানিতে ছোট ছোট মাছ আর শামুকসহ নানা ধরণের খাবারের উৎস থাকায় প্রতিবছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কিশোরগঞ্জ এবং হবিগঞ্জ জেলার একাংশ নিয়ে গড়ে ওঠা নাসিরনগরের এই মেদির হাওড়ে বসে পাখিদের মেলা। আর প্রতিবছরই পাখির এই কলকাকলি শুনতে আর এই মুগ্ধ নয়নে উপভোগ করতে এখানে আগমন ঘটে অসংখ্য পর্যটক ও পাখি প্রেমীর।
তবে প্রতিটি সুন্দরের উল্টো পিঠেই যেনো রয়েছে অসুন্দরের বীভৎস থাবা। এখানেও যার ব্যতিক্রম নয়। হাওড়ে মাছ ধরতে আসা জেলেদের পেতে রাখা জাল আর শিকারিদের ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারায় অসংখ্য পাখি। এতে করে প্রতি বছরই কমছে পাখিদের আনাগোনা। এসব পাখি সুরক্ষায় মাঠ পর্যায়ে কোন সচেতনতা কার্যক্রম চোখে না পড়লেও, জেলা বন ও পরিবেশ বিভাগের দাবি নেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ বজলুর রশিদ বললেন, ‘পাখি রক্ষায় শুধু সরকারি উদ্যোগ নয়, প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলনের।’ ২০১৬’র জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী হাওড় অঞ্চলে ৫৬ প্রজাতির পাখির সন্ধান পাওয়া গেছে।
সূত্রঃ সময় নিউজ / কৃপ্র/ এম ইসলাম