কৃষি প্রতিক্ষণ সিরাজগঞ্জ : সরকারি ঘোষণার প্রায় ১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সিরাজগঞ্জে জেলার ৯ উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় শুরু হয়নি ধান চাল সংগ্রহ কার্যক্রম। খাদ্য বিভাগের গাফলতির কারণে সরকারিভাবে ধান বিক্রির সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ কৃষক।
চলতি মাসের পাঁচ তারিখ থেকে সরকারিভাবে সারাদেশে ২৩ টাকা কেজি দরে ধান সংগ্রহের ঘোষণা দেয় খাদ্য বিভাগ। সিরাজগঞ্জে ১৮ মে থেকে মাত্র দুই উপজেলায় ধান সংগ্রহ অভিযানের কার্যক্রম শুরু হয়। কৃষকের অভিযোগ, স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে ধান কেনার জন্য কৃষকদের তালিকা করা হলেও সঠিক প্রচার না থাকায় সময়মতো কার্যক্রম শুরু না করায় এর সুফল পাচ্ছেন না তারা।
তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে কম মূল্যে খোলা বাজারে উৎপাদিত ধান বিক্রি করছেন কৃষক। এ কারণে লোকসানও গুনতে হচ্ছে তাদের। সিরাগঞ্জের এসব কৃষকরা বলছেন, সরকারের মূল্য ৯২০টাকা থাকলেও তারা ধান বিক্রি করছেন ৪০০টাকা করে। এতে করে বহু লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের । সরকারিভাবে ধান ক্রয় করা হচ্ছে কিন্তু কিভাবে তা হচ্ছে সেটি তারা ঠিকমতো জানেন না।
অবশ্য কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় যে পরিমাণ ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অপ্রতুল। এ কারণে তালিকা তৈরী হলেও অনেক কৃষক সরকারিভাবে ধান বিক্রি করতে পারছেন না।
এদিকে সিরাজগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক ওমর আলী শেখ বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রচুর ধান উৎপাদন হয়।এই মৌসুমেই এ এলাকায় ধান উৎপাদন হয়েছ ছয়লাখ মেট্রিক টন। সেখানে মাত্র ২০হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ নিতান্ত খুবই কম। এজন্যেই সব কৃষকের কাজ থেকে ধান নেওয়া যাবে না। কৃষি বিভাগের কাছ থেকে সময়মতো তালিকা না পাওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় নির্ধারিত সময়ে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করা যায় নি বলে জানিয়েছেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম। অন্যদিকে জেলায় এ বছর ১৯ হাজার সাতশ’ ৭৬ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও এ পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৩৩ মেট্রিক টন ধান।