কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাজারে নতুন মৌসুমের বাদাম সরবরাহ বেড়েছে।আর ১৫ দিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কমেছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে মণে প্রায় ২০০ টাকা কমেছে বাদামের দাম। চাহিদা স্বাভাবিক থাকলেও নতুন মৌসুমের বাদাম বাজারে বাড়তি সরবরাহ তৈরি করেছে আর এটিকেই পণ্যটির দরপতনের কারণ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানিয়েছেন, নভেম্বরের শুরুতে চরাঞ্চল থেকে শীত মৌসুমের বাদাম বাজারে আসতে শুরু করে।
জানা গেছে, বর্তমানে পাইকারি বাজারে মণপ্রতি খোসা ছাড়া বাদাম বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৩৭ থেকে ২ হাজার ৬১২ টাকার মধ্যে। দুই সপ্তাহ আগে বাজারে একই মানের বাদাম বিক্রি হতো ২ হাজার ৭২৪ থেকে ২ হাজার ৭৯৯ টাকায়। এ হিসাবে ১৫ দিনের ব্যবধানে মণে সর্বোচ্চ ১৮৬ টাকা দাম কমেছে পণ্যটির। এক মাস আগে বাজারে প্রতি কেজি চীনা বাদামের দাম ছিল ৯৫-১০০ টাকার মধ্যে। পরবর্তী এক মাসে দুই দফায় দাম কমেছে পণ্যটির। বর্তমানে প্রতি কেজি বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায়। দুই দফায় কেজিপ্রতি প্রায় ৩০ টাকা দাম কমেছে পণ্যটির।
দেশে এ বছর বাদামের ফলন ভালো হয়েছে। এর প্রভাবে এক-দেড় মাস ধরে নতুন মৌসুমের বাদামের সরবরাহ বাড়ছে। পাশাপাশি গত মৌসুমের উদ্বৃত্ত থাকা বাদামও এ মৌসুমে বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে পণ্যটির বাজারে সরবরাহ চাপ তৈরি হয়েছে। বাড়তি সরবরাহ পণ্যটির বাজারকে নিম্নমুখী করে তুলছে। সাধারণত দুই মৌসুমে বাদাম চাষ হয়। এর মধ্যে চরাঞ্চলের উঁচু জমিতে বর্ষা-শরতের দিকে বাদাম চাষ হয়। ফসল ওঠে শীতে। নিচু অঞ্চলগুলোয় শীতে বাদাম চাষ হয়। এ অঞ্চলের ফসল ওঠে চৈত্রে। নভেম্বরে উঁচু অঞ্চলের বাদাম বাজারে আসতে শুরু করেছে। মৌসুমের প্রথম দিকে বাদামের চাহিদা বেশি থাকায় দামও ভালো ছিল। কিন্তু এখন চাহিদা কিছুটা কমলেও এক মাস ধরে মোকাম থেকে সরবরাহ বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, হাতিয়া, নোয়াখালী, পঞ্চগড়সহ দেশের বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে খাতুনগঞ্জের বাজারে বাদাম আসে। এসব বাদামের বেশির ভাগই চানাচুর তৈরিতে ব্যবহার হয়। এছাড়া পিঠাপুলি তৈরিতে শীতকালে বাদামের চাহিদা বাড়ে। তাই প্রতি বছর এ সময়ে বাদামের দাম কিছুটা বাড়ে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সারা দেশে বছরে ১০টি অঞ্চলে প্রায় ৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টন বাদাম উত্পাদন হয়।
কৃপ্র/ এম ইসলাম