কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দখল হয়ে যাচ্ছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঐতিহাসিক পালরদী খাল। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতা প্রকাশ্যে এ জনগুরুত্বপূর্ণ খালটি দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। খালের মধ্যে কেউ মুরগীর খামার তৈরি করেছেন, কেউ নির্মাণ করেছেন পাকা বাড়ি। আবার কেউকেউ খালের মধ্যে পাইলিং দিয়ে সরকারি খালের জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ফলে খরস্রোতা খালটি এখন অনেকটা মরা খালে পরিণত হয়েছে। খালের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে নৌযান চলাচলে চরম বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় সরকারি খাল দখল হচ্ছে। কিন্তু দখলের বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছে স্থানীয় প্রশাসন। এ কারণে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অবৈধ দখলদাররা। দেখাগেছে, গৌরনদী বন্দরের মাছ বাজারের ব্রিজের সন্নিকটে পালরদী খালের উত্তর পাশে সরকারি খালের জমি দখল করে সুবিশাল এলাকা জুড়ে মুরগীর খামার তৈরি করেছেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মুকুল।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন তিনি খালের মধ্যে মুরগীর খামারটি তৈরি করেন। তার দেখাদেখি দক্ষিণ তীরেও খাল দখল করে অনেকেই নির্মাণ করেছেন পাকা দালান। গৌরনদী গালর্স হাইস্কুল এন্ড কলেজের পাশ্ববর্তি ব্রিজের উত্তর পাশে খালের মধ্যে সম্প্রতি পাকা পিলার বসিয়ে পাইলিং দিয়ে খাল দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন ডা. সমির চাকলাদার নামের স্থানীয় প্রভাবশালী একব্যক্তি।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা মুকুল খানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারি খাল দখল করে নয়, আমি আমার রেকর্ডিয় সম্পত্তির উপর মুরগীর খামার তৈরি করেছি। ডা. সমির চাকরাদার জানান, আমি খাল দখল করিনি,নিজের জমি রক্ষার জন্য পাইলিং করছি।
এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারি খালের জমি দখল করা সম্পূর্ণ বে-আইনি কাজ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে অচিরেই পালরদী খালের উপরে স্থাপিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে তিনি জানান।
সুত্রঃ ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম