কৃষিবিদ আব্দুর রহমান: কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জাতীয় বাজেটে কৃষি খাতের বরাদ্দ ক্রমেই হ্রাস পেয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরের কৃষি খাতের বরাদ্দ বিবেচনা করলেই তা স্পষ্ট হয়। বর্তমান সরকারের গত আটটি বাজেটের মধ্যে কৃষি আনুপাতিক হারে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছিল ২০১২-১৩ অর্থবছরে। ওই বছর মোট বাজেটের ৮.৫২ শতাংশ ছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য। অবশ্য পরের বছর তা আবার কমেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৭.২৪ শতাংশ, ২০১০-১১ অর্থবছরে ৬.৫৮ শতাংশ, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৬.৪০ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের আকার ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতের বরাদ্দ ছিল ১৫,১৮৪ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেটের আকার বেড়ে দাঁড়ায় ২,২২,৪৯১ কোটি টাকায় অথচ কৃষি খাতের বরাদ্দ কমে হয় ১২,২৮৮ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ২,৫০,৫০৬ কোটি টাকা যা ২০১৩-১৪ অর্থবছরের চেয়ে ৫.৩৪ শতাংশ বেশি। এ সময় কৃষি খাতে সরকারের মোট ব্যয় বরাদ্দ ছিল ১২,৩৯০ কোটি টাকা। এই বরাদ্দের পরিমাণ পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ১০২ কোটি টাকা বেশি হলেও বাজেটের মোট আকারে কৃষির অংশীদারিত্ব হ্রাস পায় ০.৭৩ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৫-১৬ সালের বাজেটের আকার বেড়েছে প্রায় ২৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কৃষি খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৫ দশমিক ১২ শতাংশ। অথচ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য এ খাতে বরাদ্দ মাত্র ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। মোট বাজেটের আকার বাড়লেও কৃষির জন্য বরাদ্দ কমে গেছে শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশ।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষির জন্য ব্যয় ধরা হয় মাত্র ১২,৭০৩ কোটি টাকা কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ টাকায়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষি মন্ত্রণালয়ের চাহিদার আলোকে বাজেটে মোট বরাদ্দ রাখা হয় ১৩ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। তবে শতাংশের হিসেবে কমেছে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দের পরিমাণ যা মোট বাজেটের ৪.০১ শতাংশ। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৪.০৩ শতাংশ। আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের নতুন বাজেটে কৃষি মন্ত্রণালয় তার অধীন ৫৩টি প্রকল্পসহ উন্নয়ন-অনুন্নয়ন বাজেট মিলে মোট ১৪ হাজার ৪১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছে, যা চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চেয়ে কিছুটা বেশি। এখন প্রস্তাবিত বাজেটের কতটা পায় কৃষি মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, অর্থ বিভাগের বাজেট পরিপত্রের আলোকে কৃষি মন্ত্রণালয় মোট অনুন্নয়ন বাজেট চেয়েছে ১২ হাজার ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা চলতি অর্থবছর ছিল ১১ হাজার ৮৩৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর উন্নয়ন বাজেট বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ৫৩ চলমান প্রকল্পের জন্য চেয়েছে ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৮৪০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় নিজেরাই প্রাক্কলন করে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ১৪ হাজার ৪৬৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ১৪ হাজার ৯০৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব জানিয়েছে। এই প্রস্তাবগুলো কৃষি মন্ত্রণালয়ের বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রক্ষেপণ করা হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয় ছাড়া তার অধীন ১৬টি বিভাগ রয়েছে। এদের ৫১টি প্রকল্প অনুমোদিত রয়েছে যার মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ১৭টি প্রকল্পের জন্য ৫৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের ১২ প্রকল্পের জন্য ৬৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চার প্রকল্পের জন্য ১৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আট প্রকল্পের জন্য ২৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের দুই প্রকল্পের জন্য ১৬ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং থোক বরাদ্দ ৯০ কোটি টাকার দাবি জানানো হয়েছে। আর আগামী অর্থবছরের জন্য এডিপিতে চাওয়া হয়েছে ১ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থবছর এডিপিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫ হাজার ৪১ কোটি ১ লাখ টাকা।
জাতীয় বাজেটের আকার ক্রমেই বৃদ্ধি কিংবা আন্তর্জাতিক বাজারে সার-তেলের দাম কমে গেলেও বিগত কয়েক বছর ধরে এই ভর্তুকির পরিমাণ ৯,০০০ কোটি টাকায় স্থির রয়েছে এবং জাতীয় বাজেটের অংশীদারিত্ব ক্রমহ্রসমান। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মোট বাজেটের ৪.২ শতাংশ কৃষিতে ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ০.৬ শতাংশ কম। অর্থমন্ত্রী তার ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘কৃষি গবেষণাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে’। কিন্তু মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোতে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের জন্য যেখানে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১১৩.৮৪১২ কোটি টাকা, সেখানে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ আরও হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় ৯২.৭২০২ কোটি টাকায়। ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে যথাক্রমে ৫৫.১৪৬০, ১৫.১০৩৭ ও ১৫.৪৮ কোটি টাকা। একই চিত্র দেখা যায় অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও।
এদিকে প্রতিবছরই দেশে ফসলি জমির পরিমাণ কমলেও বাড়ছে ফসল উৎপাদন। যা প্রমাণ দিচ্ছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশের, গেল কয়েক বছরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধির হারও ৪ শতাংশের বেশি। আমাদের জিডিপিতে কৃষি খাতে অবদান কমেছে ঠিকই, কিন্তু কৃষির গুরুত্ব কমেনি। মূলত শিল্প ও সেবা খাতের প্রবৃদ্ধির কারণেই এমনটি ঘটেছে। এখনো দেশের শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য কোনো না কোনোভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। শ্রমশক্তি জরিপের (২০১০) হিসাব মতে, দেশের মোট শ্রমমক্তির ৪৭.৫ শতাংশ এখনো কৃষিতে নিয়োজিত। এটি একদিকে যেমন আমাদের অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনকে নির্দেশ করে তেমনি এটাও স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে এখানে উদ্বৃত্ত শ্রম জমা পড়ে আছে। প্রচ্ছন্ন বেকারত্বের হার এখানে অনেক বেশি। উদ্বৃত্ত শ্রমকে উৎপাদনশীল কাজে লাগানোর কৃষিতে বর্ধিত বিনিয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
জাতীয় কৃষিনীতি ও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কৃষির বাণিজ্যিকীকরণকে মূল বিবেচনায় রাখা হয়েছে। এ পরিকল্পনায় কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের ওপর জোর দেয়া হয়েছিল যা খামারভিত্তিক চাষাবাদকে উৎসাহিত করেছে। উৎপাদন বাড়লেও উৎপাদন উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি ও পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা কৃষি থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এমতাবস্থায় সরকারের উচিত এ দেশের প্রান্তিক কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে এসে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকের স্বার্থে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করা এবং সে অনুযায়ী কৃষিতে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।
ধান-চাল ক্রয়ে বাজেট বৃদ্ধি করা এবং উপসহকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে তালিকা প্রণয়ন করে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় করা। সেচ, সার, বীজসহ সব ক্ষেত্রে প্রদেয় ভর্তুকি সরাসরি কৃষকের কাছে পেঁৗছানো। বন্যায় হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা। কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা স্থাপন করা। জৈব প্রযুক্তি গবেষণা ও সম্প্রসারণে বাজেট বৃদ্ধি করা। বিএডিসিকে শক্তিশালী ও সক্রিয়করণে বাজেট বৃদ্ধি করা। কৃষি বা শস্যবীমা চালু করা। মৌসুমভিত্তিক সুদবিহীন কৃষিঋণ প্রদান। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে কৃষিমার্কেট স্থাপন এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে হিমাগার স্থাপন।
বিশেষ করে দুর্যোগে ফসলহানির পর কৃষক যাতে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে, সে জন্য পৃথিবীর উন্নত কৃষিপ্রধান দেশের অনুশীলনগুলো অনুসরণ করে শস্যবীমা বাস্তবায়ন করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে শুরু হয় ‘আবহাওয়ার সূচকভিত্তিক শস্যবীমা প্রকল্প’। যেটি বাস্তবায়ন করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর ও সাধারণ বীমা করপোরেশন। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের তহবিলে দেশের তিনটি এলাকা রাজশাহী (খরাপ্রবণ), সিরাজগঞ্জ (বন্যাপ্রবণ) ও নোয়াখালী (ঘূর্ণিঝড়প্রবণ) জেলাকে বেছে নেয়া হয়েছে এ পাইলট প্রকল্পে। আশা করি, এবারের বাজেটে এ শস্যবীমা কার্যক্রমকে দীর্ঘমেয়াদে সম্প্রসারণ ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেবে সরকার।
প্রাকৃতিক ও মানুষতৃষ্ট কারণে হাওরাঞ্চলে ফসলহানি বাড়ছে। গত ৬০ বছরে এবার সবচেয়ে বেশি ফসলহানি ঘটেছে হাওরাঞ্চলে। হাওরের দ্বিতীয় ফসল মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে হাওরে এ ধরনের দুর্যোগের প্রবণতা বাড়ছে। এ বিবেচনায় হাওরের জন্য স্থায়ী পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে হাওরের নদীগুলোর খনন করা। হাওরের প্রাকৃতিক অবস্থা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য কার্যকর উদ্যোগ হিসেবে বিশেষ বরাদ্দের প্রয়োজন রয়েছে। অন্যদিকে হাওরের উপযোগী ফসল জলজ খাদ্যশস্য উৎপাদন, প্রাকৃতিক ও বন্য জলজ ধানের (জিজানিয়া, দুমাই জাত) সঙ্গে দেশীয় জাত ও উফশী জাতের সংকরায়ন করে হাওরের উপযোগী নতুন জাত উদ্ভাবনে কার্যকর গবেষণা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে হাওরের উপযোগী ফসল উৎপাদনের জন্য বিশেষ গবেষণা ও বরাদ্দ দরকার। হাওর উন্নয়ন অধিদপ্তর নামে সরকারের একটি অধিদপ্তর চালু হয়েছে। এজন্য আঞ্চলিক দপ্তরও গড়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু ওই দপ্তরের কোনো কার্যক্রম নেই। দপ্তর চালুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ এবং সে সঙ্গে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরি।
কৃষি বাজেটে পোলট্রি ও মাছের খাদ্যের আমদানিকৃত উপকরণের ওপর থেকে শুল্ক কর তুলে শূন্য করা হচ্ছে। এর ফলে খোলাবাজারে মাছ এবং মুরগির খাদ্যের দাম কমার কথা থাকলেও সেটি হয়নি। সুফল পাচ্ছে খাদ্য উৎপাদন কারখানার মালিকপক্ষ। কার্যত তারা খাদ্যের দাম কমাচ্ছে না। যার ফলে খামারিরা সুফল পাচ্ছে না।
দেশের ৪ হাজার ৫৪৭টি ইউনিয়ন পরিষদে, ৩২১টি পৌরসভায় ও সিটি করপোরেশনের ৪০৭টি ওয়ার্ডে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ই-সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ই-সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, আইনি সহায়তা, দুর্যোগব্যবস্থাপনা, আইনের প্রয়োগসহ বেশির ভাগ সরকারি সেবাই সব পর্যায়ের জনগণের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সরকার বিপুল অর্থ ব্যয় করে এ তথ্য সুবিধার অবকাঠামো তৈরি করলেও সরকারি সহায়তা সম্পর্কে কৃষক তথা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সচেতনতা বাড়ছে না।
আগামী দিনের কৃষিতে উদ্যোক্তার সঙ্গে কৃষকের অংশীদারিত্বের ব্যাপারে শক্তিশালী নীতিমালা গড়ে তোলা প্রয়োজন। কৃষিকে শতভাগ প্রযুক্তিনির্ভর করার জন্য ভর্তুকি ও সহায়তা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। কৃষকের জমির মূল্য বিবেচনায় উদ্যোক্তার পাশাপাশি এখানে বিনিয়োগকারী হিসেবে কৃষককে যুক্ত রাখার ক্ষেত্রে সরকারি একটি নীতিমালা তৈরির প্রয়োজন রয়েছে। দেশের কৃষকের ফল-ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার স্বার্থে কৃষিপণ্যের উৎপাদন মৌসুমে আমদানি নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি আমদানি শুল্ক বাড়ানো দরকার।
লেখক : কৃষি অর্থনীতিবিদ
কৃপ্র/এম ইসলাম