কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শরীয়তপুর জেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাউনের চাষ। শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে কাউন চাষের কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও শরীয়তপুর জেলার ৬টি উপজেলায়ই কম বেশী কাউনের চাষ হয়। একটা সময় অত্র অঞ্চলে প্রচুর কাউনের চাষ হতো। আর এই কাউনের মাধ্যমে চাল হতো। তা দিয়ে আমাদের দেশের মায়েরা সুস্বাদু পিঠা, পায়েস তৈরী করতেন। শুধু তাই নয়,আমাদের দেশের দরিদ্র কৃষকরা কাউন চাষ করে অনেকটা খাদ্য চাহিদা পূরণ করতেন। কিন্তু আজ কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে কাউনের চাষ।
এ ব্যাপারে সখিপুর গ্রামের নাসির উদ্দিন এর সাথে বলেন, আগে আমরা প্রচুর কাউনের চাষ করতাম। কিন্তু এখন তা আর করি না। কারণ বাজারে এখন কাউনের চাল বেশী চলেনা।
কাগদী গ্রামের কৃষক হাতেম আলী বেপারী বলেন, আগে আমরা কাউন চালের ভাত খেতাম। খুবই ভাল লাগতো। এখন ইরি চাল আসায় কাউন চালের ভাত খাওয়া ভুলে গেছি। হুগলী গ্রামের কৃষক মজিবর মিয়া বলেন,কাউন চাষে খরচ নেই বললেই চলে। কিন্তু আমাদের জমি ইরি ব্লকে পরিণত হওয়ায় কাউনের চাষ করা বন্ধ হয়ে গেছে।
কাশীপুর গ্রামের কৃষক আঃ ছালাম হাওলাদার বলেন, কাউন চাষে খরচ কম হলেও প্রতিযোগীতামূলক বাজারে ইরি চালের চাহিদা বেশী। আর ইরি চাষ করলে সরকারের কাছে সহযোগীতা পাওয়া যায়। কিন্তু কাউন চাষ করলে সরকার কোন সহযোগীতা করেনা।