কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালীর বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের মঙ্গলবাড়িয়া খালে বাঁধ দিয়ে ১০ বছর ধরে দখল করে মাছ চাষ করছে একটি প্রভাবশালী পরিবার। ফলে শাখা খালগুলো মরে শুকিয়ে গেছে। যখন পানির প্রয়োজন হয় এলাকার মানুষ তখন পানি পাচ্ছে না। আবার বর্ষা মৌসুমে পুরো এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে।এতে চারশ’ পরিবারের চাষাবাদ ও গবাদিপশু পালন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে বাঁধ কেটে খালটি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় কৃষকরা ছুটছেন এলাকার সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ সরকারি এক দফতর থেকে আরেক দফতরে। গত চার মাস ধরে চলছে প্রশাসনের চিঠি চালাচালি। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এখন পর্যন্ত খালটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের টুঙ্গীবাড়িয়া মৌজায় পাঁচ কি.মি. লম্বা মঙ্গলবাড়িয়া খালটির দুটো মুখ ডিক্রি নদীর সঙ্গে যুক্ত ছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধ নির্মাণ করতে গিয়ে খালের মুখ দুটি বন্ধ করে দেয়। এরপর একটি কালভার্টের মাধ্যমে তুলাতলি খালের সঙ্গে যুক্ত করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখা হয়। ওই খালের ওপর টুঙ্গিবাড়িয়াসহ আশেপাশের আরো কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ নির্ভরশীল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার প্রভাবশালী মোঃ হাসান তালুকদার এবং তার অপর দুই ভাই হোসেন তালুকদার ও মামুন তালুকদার ১০ বছর আগে হঠাত্ সরকারি এ খালটি দখল করে নেয়। এরপর তারা বাঁধ দিয়ে খালটিতে মাছ চাষ শুরু করে। এরপর থেকে পুরো এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ খালের পানির ওপর নির্ভর করে চারশ’ একর জমির ধান ও রবিশস্য চাষাবাদ হয়। কৃষকদের চাষাবাদে যখন পানির প্রয়োজন হয় তখন আটকে রাখা হয়।
আবার যখন পানির প্রয়োজন হয় না তখন খালের পানি ছেড়ে পুরো এলাকা তলিয়ে দেয়া হয়। তবে খাল দখলকারী মোঃ হাসান তালুকদার বলেন, তিনি ২০০৮ সালে যুব উন্নয়ন দফতর থেকে খালের একসনা লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। এভাবে তিন বছর লিজ নিয়েছেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় লিজের জন্য আবেদন করেননি। তাদের পারিবারিক জমি সংলগ্ন হওয়ায় খালটি তাদের বলেও তিনি দাবি করেন।
সুত্র, ইত্তেফাক/ কৃপ্র/এম ইসলাম