কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীন অভিযানের কারণে খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকর রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও আধুনিক যন্ত্র না থাকার কারণে ফরমালিন শনাক্তকরণ সঠিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে না, যদিও ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর খাদ্যে ফরমালিন পরীক্ষার ক্ষেত্রে সঠিক যন্ত্র নির্বাচনের আদেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। আধুনিক যন্ত্র ছাড়া খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক পরীক্ষা কতটা সঠিক তা নিয়ে প্রশ্ন অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থার। তবে সমস্যা সমাধানে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একসাথে কাজ করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও মন্ত্রীর বক্তব্যে দেশি বিদেশি বিভ্ন্নি ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের অস্তিত্ব না পাওয়ার খবর উঠে এসেছে।
তবে এসব আশ্বাসে পুরোপুরি আস্থা না পাওয়ায় অব্যাহত অভিযান করার পাশাপাশি উৎপাদন ও বিক্রয়কেন্দ্রে ফরমালিনের ক্ষতিকর মাত্রা পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানাচ্ছেন ভোক্তারা। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে ফরমালিন পরীক্ষার আগে যে কোন প্রতিষ্ঠানের দেয়া ছাড়পত্রের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ ডিএমপির অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান। ফরমালিন আমদানি অনেকক্ষেত্রে বন্ধ হওয়ায় দেশীয় ফলে ফরমালিনের প্রয়োগের পরিমাণ হ্রাস পেলেও তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এক্ষেত্রে ক্রেতাদের সচেতনতার পাশাপাশি খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের ক্ষতিকর পদ্ধতিগুলোকে কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের আওতায় আনার আহ্বান এই বিশেষজ্ঞের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঔষধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, ‘ফরমালিন বিশ্বে একুশটি নামে বিক্রি হয় আর তাই আমদানির ক্ষেত্রে তারা অন্য নামে আমদানি করবে। এটি যেন না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’ খাদ্যদ্রব্যে ফরমালিন ও কারবাইডসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল রোধে সরকারের আন্তরিকতা থাকলেও একাধিক প্রতিষ্ঠানের বিক্ষিপ্ত অভিযানে তা সফলতার মুখ দেখছে না বলেও মত বিশেষজ্ঞদের। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, মাত্র ১০টি স্যাম্পল নিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্তে আসা উচিত হয়নি। আর নজরদারিটা সারা বছর অব্যাহত রাখতে হবে।’ কয়েক বছর ধরে ভেজাল বিরোধী অভিযানের পর অবশেষে জনগণ কিছুটা সুফল পেতে শুরু করলেও কাঙ্ক্ষিত সফলতা থেকে তা অনেক দূরে বলে মত বিশ্লেষকদের।