কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
কৃষিতে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত আলী হোসেন এবার গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষ করে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন। সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ও রাসায়নিক সার বিহীনভাবে উৎপাদন করায় একদিকে যেমন এর চাহিদা বেশি অপরদিকে অসময় এ সবজি বাজারে আসায় বিক্রি হচ্ছে অপ্রত্যাশিত চড়া দামে। ফলনও হয়েছে বাম্পার।
আলী হোসেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নের বোধখানা গ্রামের মৃত রহমত আলী মোড়লের ছেলে। তিনি ২০১৬ সালে বিষমুক্ত (নিরাপদ) সবজি উৎপাদনে জাতীয় পর্যায় ২য় স্থান অধিকার করেছিলেন। আলী হোসেন এবার ৫৫ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপির চাষ করেছেন।
গত বছর রমজান উপলক্ষে তিনি পরিকল্পনা মাফিক গ্রীষ্মকালীন ধনেপাতা, শসা ও মুখিকচু চাষ করেছিলেন। এ বছর রমজান মাসকে টার্গেট করে তিনি বাঁধাকপি চাষ করেন। রমজান মাস শুরুর সাথে সাথে তিনি বাঁধাকপি বাজারে বিক্রি শুরু করেন। বর্তমান প্রতি কেজি বাঁধাকপি পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ২৩ থেকে ২৫ টাকা। সে হিসেবে তার ৫৫ শতক জমির এই বাঁধাকপি বিক্রি হবে প্রায় ২ লাখ টাকা। এতে তার খরচ হয়েছে ১৫ হাজার টাকা।
৫৫ শতক জমিতে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপির মাঝে মধ্যে রয়েছে কলার গাছ। কেকে ক্রস জাতের এই বাঁধাকপি চাষে সময় লাগে ৫৫-৬০ দিন।
কৃষক আলী হোসেন জানান, বাঁধাকপির চারা তৈরিী করতে সময় লাগে ২৫-২৮ দিন। এরপর বীজতলা থেকে ক্ষেতে লাগানোর ৫৫-৬০ দিনের মাথায় তা বাজারে বিক্রি করা যায়। তার প্রতিটা বাঁধাকপির ওজন হয়েছে ৬০০-৭৫০ গ্রাম করে।
৫৫ শতক জমিতে মোট ৯ হাজার বাঁধাকপির গাছ রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, তিনি প্রায় ২ লাখ টাকার বাঁধাকপি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
এ ছাড়া তিনি ২ বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছেন। এর সাথী ফসল হিসেবে লাগিয়েছেন কলা। এ ছাড়া তার দেড় বিঘা পটোল ও আড়াই বিঘা কলার চাষ রয়েছে। তিনি অধিকাংশ চাষে কেঁচো কম্পোস্টের জৈব সার, সেক্স ফেরেমন ফাঁদ, বর্দ্দো মিকচার, জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করেন। তিনি রাসায়নিক সার ও কীটনাশক কম ব্যবহার করেন। তিনি প্রতি মৌসুমে দেশি পদ্ধতিতে সাড়ে তিনশ-চারশ মণ আলু সংরক্ষণও করেন।
তথ্যসুত্র, যায়যায় দিন/কৃপ্র/ এম ইসলাম