মোঃ আরিফুর রহমান।।
তথ্য-উপাত্ত ও গবেষনা বলছে দেশের বিপন্ন প্রজাতির মাছের সংখ্যা এখন শতাধিক। দেশের জলাশয়ে ২৬০ প্রজাতির মাছ আছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইইউসিএন) ২০০০ সালে এর ৫৪ প্রজাতিকে বিপন্ন ঘোষণা করেছে। তবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-উপাত্ত বলছে দেশে বিপন্ন প্রজাতির মাছের সংখ্যা শতাধিক। কৃষিতে কীটনাশকের ব্যবহার, শিল্পায়নের পানিদুষণ, অতিরিক্ত মৎস্য আহরনের কারণে দেশি মাছের প্রজাতির সংখ্যা দিন দিন কমছে। বিদেশি মাছের অনুপ্রবেশও এর একটি বড় কারণ।
বিপন্ন প্রজাতির মাছগুলোকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে বিপন্ন, চরম বিপন্ন , সংকটাপন্ন, ও বিলুপ্ত।
বিপন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে আছে চিতল, টিলা, খোকশা, অ্যালং, কাশ খাইরা, কালাবাটা, ভাঙন, বাটা, কালিবাউশ, গনিয়া, ঢেলা, ভোল, দারকিনা, রানি, পুতুল, গুইজ্যা আইড়, টেংরা, কানিপাবদা, মধুপাবদা, পাবদা, শিলং, চেকা, একঠোঁট্টা, কুমিরের খিল, বিশতারা, নেফতানি, নাপিত কই, গজাল ও শালবাইন।
সংকটাপন্ন মাছের মধ্যে আছে গুলশা, কাজুলি, গাং মাগুর, কুচিয়া, নামাচান্দা, মেনি, চ্যাংফলি, বামোশ, টাটকিনি, তিতপুঁটি, আইড়, ও তারাবাইন।
চরম বিপন্ন প্রজাতির মধ্যে আছে ভাঙন, বাটা, নান্দিনা, ঘোড়া মুইখ্যা, সরপুঁটি, মহাশোল, রিটা, ঘাউড়া, বাছা, পাঙ্গাশ, বাঘাইড়, চেনুয়া ও টিলাশোল।
আইইউসিএনের মতে, বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রজাতির কোনো মাছ নেই।
কৃপ্র/এম ইসলাম