কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প যেন এখন কৃষকদের জন্য একটি অভিশাপ। এ সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতার কারণে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা। ময়লা আবজর্না এবং খালগুলো অবৈধভাবে দখল হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সরতে পারছে না। প্রতি বষার্য় মতলব উত্তরের কৃষকরা এ ভোগান্তিতে পড়লেও স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেই। জানা গেছে, প্রতি বছর বষার্র সময় বৃষ্টির পানিতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে, এবারো তাই হয়েছে।
ময়লা-আবজর্নায় এবং অবৈধ দখলের দৌরাত্মে খালগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে না পারাই এ জলাবদ্ধতার মূল কারণ। এবার জলাবদ্ধতার কারণে পাকা বোরো ধান ও সবজির জমির মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে চলতি মৌসুমের ফসল করতে পারছে না কৃষকরা।
ফলে অনাবাদি থাকছে কয়েক হাজার একর জমি। প্রতি বছর বষার্য় এভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এ সেচ প্রকল্পটি এখন কৃষকের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার কলাকান্দা, মিলারচর, মাথাভাঙ্গা, পঁাচআনী, নাউরী, হলদিয়া, লুধুয়া, একলাশপুর, জোড়খালী, শিকিরচর, ছেংগারচর, কেশাইরকান্দি, জীবগঁাও, পাঠানবাজার, ঝিনাইয়া, মরাদন, ইসলামাবাদ, অলিপুর, নয়াকান্দি, সুজাতপুর, ঠাকুরচর, রুহিতার পাড়, হানিরপাড়, বদরপুর, বাগানবাড়ি, নিশ্চিন্তপুর, দুগার্পুর, লবাইরকান্দি, ইসলামাবাদ, ফতেপুরসহ প্রকল্পের বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
এ কারণে পাকা ধান, বীজতলা এবং ভুট্টা, আখ, সবজি, ফল ও কাঠ গাছের বাগান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মৎস্য খামার তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি ও ফসলি জমি আবাদ করতে না পারায় কৃষক পরিবার হতাশাগ্রস্তÍ হয়ে পড়েছে। এদিকে কয়েকদিন যাবত জলাবদ্ধতা স্থায়ী হলেও পাউবো কতৃর্পক্ষ পানি সরানোর দ্রæত ব্যবস্থা না করায় ফসলহানি ঘটছে। এভাবে প্রতি বছরই জলাবদ্ধতায় এ প্রকল্পের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতি হয়।
এ জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষকরা। তা না হলে মূলধন হারিয়ে তাদের পথে বসতে হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ বলেন, বিষয়টি দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শ দিয়েছেন।
তথ্যসুত্র/কৃপ্র/এম ইসলাম