কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
জৈব সার ব্যবহার করে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন দিনাজপুর বীরগঞ্জের চাষি নিত্যানন্দ সাহা। ভেজাল-রাসায়নিক সার ব্যবহারে পরিবেশ ও ফসলী জমির মারাত্মক ক্ষতি ছাড়াও মানুষের জীবন নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি করছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ও উৎপাদিত খাদ্যশষ্যের স্বাদ ফিরিয়ে আনতে অর্গানিকভাবে উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান নিত্যানন্দ সাহা।
তিনি তিন ধরনের উন্নত জাতের ১. মার্শাল সুপার হাইব্রিড (এসিআই) ২. হাইগ্রিন হাইব্রিড (মেটাল সিড), ৩. সম্রাট হাইব্রিড (ইস্পাহানি) লাউ চাষ করছেন। এরই মধ্যে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে তিনি কৃষিজাত সবজি জাতীয় ফসল লাউ, মরিচ, পেঁপে, শাকসজিসহ কয়েক প্রকারের ফসল উৎপাদন করছেন। তার নিজস্ব জমিতে গড়ে তুলেছেন গেন্ধা ফুলের নার্সারি।
নিত্যানন্দ জানান, পোকামাকড়ের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে উপজেলা কৃষি অধিদফতরের শরণাপন্ন হই। তাদের পরামর্শে আমি জৈবিক বালাই দমন ফাঁদ বা সেক্স ফেরোম্যান ট্রাপ পদ্ধতি ব্যবহার করি। কোনো প্রকার অভিজ্ঞতা ছাড়াই আমি এর ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। আমি কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ব্যবহার করিনি। তবে নিমের তেল স্প্রে করেছি যাতে পোকামাকড় না আসে।
তিনি জানান, আমার ১৬ শতক জমিতে শুরু করি উন্নত জাতের লাউ চাষ। লাউ দেখে রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া এলাকাবাসীর নজর কেড়েছে। তাই তারা এ লাউ নেওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করছে। আমি চাই আমাদের প্রয়োজনেই পরিবেশকে রক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে ভেজাল মুক্ত খাদ্য খেয়ে সবাই সুস্থ জীবনধারণ করি। কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই অর্গানিক পদ্ধতি কৃষিতে ব্যবহারে আকৃষ্ট করতে পারলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে দেশের কৃষক এবং বিষমুক্ত হবে আমাদের ফসল।
তথ্যসুত্র, বাংলাদেশ প্রতিদিন