কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) নতুন হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন কাজে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। প্রত্যাশিত এ জাতের ফলন হবে হেক্টরপ্রতি ১০ টন। এর দানা চিকন, জীবনকাল ১৪০-১৪৫ দিন এবং চালে এ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৫ ভাগের বেশি।
বোরো মৌসুমের উপযোগী ৪৬৮টি পরীক্ষামূলক হাইব্রিড থেকে সম্ভবনাময় ১৭টি হাইব্রিড কম্বিনেশন বাছাই করা হয়েছে এবং এদের বীজ উৎপাদনের সক্ষমতা বিবেচনার জন্য বীজ উৎপাদনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে দু’টি স্বল্প জীবনকালীন জাত রয়েছে যাদের ফলন প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার মতো। বৃহস্পতিবার গাজীপুরস্থিত ব্রি’র ভিআইপি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউট (ব্রি)-এর ভৌত সুবিধাদি ও গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে এবং হাইব্রিড ধান গবেষণা দক্ষতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সনৎ কুমার সাহা।
ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রি’র পরিচালক (প্রশাসক ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মোঃ আনছার আলী, পরিচালক (গবেষণা) ড. তমাল লতা আদিত্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ইউংয়ের উপ-প্রধান মোঃ মাহবুবুল হক পাটোয়ারী।
কর্মশালা দুটিতে পাওয়ার প্ল্যান্ট উপস্থাপন করেন যথাক্রমে প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ হুমায়ূন কবীর ও ড. মোঃ জামিল হাসান। কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ১২০ জন বিজ্ঞানী, গবেষক ও কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
হাইব্রিড ধান গবেষণা দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক ড. জামিল হাসান জানান, প্রকল্পের আওতায় আউশ মৌসুমের সম্ভবনাময় সারি যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত বিবেচনায় বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সিতে নিবন্ধন করা হয়েছে। মূল্যায়নের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে আগামী আউশ ২০১৯ সালে ব্রি’র নতুন হাইব্রিড জাত হিসেবে অবমুক্ত হবে।
কৃপ্র/এম ইসলাম