কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
সবজিভাণ্ডার হিসাবে খ্যাত ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা। এখানে এ বছরও বেগুনের ভালো ফলন হয়েছে। আর একই সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়ে দারুণ খুশি বেগুনচাষীরা। এখানকার উৎপাদিত বেগুন সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলার হাটবাজারে।
সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৈলডুবী, আবুলের মোড় ও বাঁধানো ঘাটে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বেগুন চাষ করা হচ্ছে। এ অঞ্চলের অধিকাংশ কৃষকই প্রায় বছরজুড়ে বেগুন আবাদ করেন। কৃষকরা জানান, সবজির মধ্যে বেগুন আবাদে লাভ বেশি। তাই এখানকার বেশির ভাগ কৃষকই এখন বেগুন আবাদের সঙ্গে যুক্ত।
কৃষকরা জানান, অন্য ফসল আবাদের তুলনায় বেগুন চাষে খরচ কম। কিন্তু উৎপাদন হয় বেশি। তাদের দাবি, এক বিঘা জমিতে বেগুন আবাদে খরচ হয় ৪০-৫০ হাজার টাকা। এ থেকে বেগুন পাওয়া যায় ১২০-১৫০ মণ, যার দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা। কৃষকরা আরো জানান, চারা রোপণের এক মাস পরই বেগুন ধরতে শুরু করে। একাধারে ছয় মাস প্রতি সপ্তাহে দুবার গাছ থেকে বেগুন সংগ্রহ করা যায়।
এক পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, দেশজুড়েই সদরপুরের বেগুনের কদর রয়েছে। এখান থেকে বেগুন কিনে ঢাকার কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, যাত্রাবাড়ী, দোহার বাজার, নারিশা বাজার, কার্তিকপুর, শ্রীনগর, মাদারীপুর, বরিশাল, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। বিভিন্ন বাজারে এখানকার বেগুন ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা মণদরে বিক্রি হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় জানান, চলতি বছর এ উপজেলায় ২৯০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ২৫০ হেক্টর। কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কৃষি অফিসের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম