কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
বান্দরবান জেলায় চলতি মৌসুমে পাহাড়ে পাহাড়ে জুমচাষ হয়েছে।এবার জুমক্ষেতে ফলনও হয়েছে বেশি। জুমচাষীদের মতে জুমে ধানসহ রকমারী ফসল ফলেছে। জেলার সর্বত্রই জুমধান কাটার ধূম পড়েছে। জুমচাষীরা চলতি সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকেই ধানকাটতে শুরু করেছেন।
বান্দরবান জেলার ৭টি উপজেলার দুর্গম এলাকায় বসবাসরত এবং জুমচাষের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল জুমচাষীরা এখন মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তাদেইে আবাদকৃত জুমক্ষেত থেকে জুমের ধানকাটার কাজে। এবারে পাহাড়ের জুমক্ষেত সমুহে বাম্পার ফলন হয়েছে ধানের। তাই জুমচাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে।
জেলার থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি, লামা, আলীকদম, নাইক্ষংছড়ি এবং বান্দরবান সদর উপজেলার নানাস্থানে পাহাড়সমূহের জায়গায় জাগায় পাকা জুমক্ষেত হলুদবর্ণে ছেয়ে গেছে। সবুজ পাহাড়ের ভাঁজে-ভাঁজে পাকাধানের ঘ্রাণ।
জেলার ম্রো, ত্রিপুরা, খুমি, বম, চাক, মার্মা, খিয়াংসহ ১১টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী প্রতিবছরই তাদের নির্ধারণ করা পাহাড়ি ভুমিতে জুমচাষ করে থাকেন।
থানছি উপজেলার কয়েকটি জুমচাষ এলাকা থেকে পাওয়া তথ্য মতে সেখানে জুমচাষীরা জুমধান কাটতে শুরু করেছেন। এবারে জুমক্ষেতে ফলন বেশি হওয়ায় খুশি জামচাষীরা।
থানচি এলাকার জুমচাষী মংচিং মার্মা,সুনীতা ত্রিপুরা,মেনরুই ম্রো এবং সাক্য চাকমা বলেন,তাদের জুমক্ষেতে ধান পাকতে শুরু করেছে এবং তারা এসব পাকাধানও কাটতে নেমেছেন মাঠে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের হিসেব মতে চলতি মৌসুমে জেলার ৭টি উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজার একরের পাহাড়ি জমিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে জুমচাষ হয়েছে। জুমক্ষেত থেকে পাকা ধান কাটার পর পরবর্তী প্রায় দুই মাস ধরে ভুট্টা,মারফা,চিনার,তিল,মিষ্টি কুমড়া,ধানিয়া মরিচ ও কুমড়া উত্তোলন বা সংগ্রহ কাজ চলে।
কৃপ্র/এম ইসলাম