কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক।।
এভোকাডো অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু একটি বিদেশি ফল। বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু এ ফল চাষের উপযোগী। বাংলাদেশে এ ফল চাষ ভাল হবে বলে আশা করছেন কৃষিবিদরা। বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে এভোকাডো চাষের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে।
এভোকাডোর আদি নিবাস মধ্য আমেরিকা এবং মেক্সিকো। উনিশ শতকের শুরুতে ব্যাঙ্গালোরে বসবাসকারী আমিরিকান মিশনারীরা ভারতে প্রথম এভোকাডো চাষ করেন। বর্তমানে দক্ষিণ আমেরিকা, পেরু, জামাইকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, স্পেন, ক্যালিফেনিয়া, ফিলিপাইন, ইসরাইল, মালেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, শ্রীলংকা, ভারত এবং বাংলাদেশসহ উষ্ণ এবং অউষ্ণ মন্ডলের অনেক দেশেই এর চাষ হচ্ছে।
ইতোমধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার সেন্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বান্দরবন, মাগুরা, নারায়নগঞ্জ, উদ্যান গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুর, হাটহাজারী, পার্বত্য এলাকায় এর চাষ শুরু হয়েছে। অনেক সৌখিন চাষী তাদের বাড়িতে এভোকাডো চাষ করছেন।
বাংলাদেশ পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, সম্ভাবনাময় বিদেশি এই ফলটি বাংলাদেশে স্বার্থকভাবে চাষ করা যাবে। তিনি বলেন বিভিন্ন ফলের মধ্যে এভোকাডো সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর ফল হিসাবে বিবেচিত।
এভোকাডোর আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে শর্করার পরিমাণ খুবই কম, তেলের পরিমাণ বেশি অথচ কোঁ লেস্টেরল নেই। খেতে অনেকটা ডিমের কুসুম এবং মাখনের স্বাদ পাওয়া যায় বলে অনেকে একে মাখন ফল বলে থাকেন।
এ ফল আকারে ছোট, অনধিক ২৫০ গ্রাম। ফলের ত্বক পাতলা ও মসৃন, বীজ বড় এবং সহজেই শাঁস থেকে আলাদা করা যায়। পার্সিয়া গনের অন্তর্ভূক্ত এভোকাডোর প্রায় ১৫০টি প্রজাতি রয়েছে।
গবেষকদের মতে যেসব স্থানে মেহগনি গাছ জন্মে সেসব স্থানে এভোকাডো চাষ সম্ভব। তবে এভোকাডো জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। বীজ থেকে উৎপাদিত চারা ৫-৬ বছরে এবং কলমের গাছ ৩-৪ বছরে ফলন দেয়।
রঙ্গিন জাতের এভোকাডো ফল পাকলে পার্পল থেকে হালকা মেরুন বর্ণ ধারণ করে। পক্ষান্তরে সবুজ জাতের ফল সবুজাভ হলুদ বর্ণ ধারণ করে। বীজের ত্বক হলুদাভ সাদা থেকে কালো বাদামী বর্ণ ধারণ করলে বুঝতে হবে ফলগুলো সংগ্রহ উপযোগী হয়েছে।
কৃপ্র/এম ইসলাম