কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : একসময় পাট ছিল আমাদের সোনালি আঁশ। নানান কারণে আমাদের সোনালি আঁশ পাট প্রায় হারিয়েই যেতে বসেছিল। কিন্তু পাটের সেই সুদিন আবার ফিরে এসেছে। ফলে পাট চাষে এখন আবারো আগ্রহী হয়ে উঠেছেন চাষিরা। কারণ পাটের বাজারমূল্য এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক ভালো। আর এই বিষয়টি মাথায় রেখে কৃষিবিদ অসিত কুমার সাহা বিনা চাষে পাট উৎপাদনের পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন ।এতে পানি ও খরচ অনেক কম হবে কিন্তু ফলন হবে আশানুরুপ বলে তিনি জানান ।
এ বছর খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর এলাকার উপসহকারী কৃষি অফিসার আশুতোষ মারফত জানা যায়, এই এলাকায় এ বছর এই পদ্ধতিতে প্রায় ১০০ একর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। চাষিরা জানান, বোরো জমিতেই পাট চাষ করা সম্ভব।
চাষ কৌশল : বোরো ধান কাটার ২০-৩০ দিন আগে ধানের জমিতে মাটিতে রস থাকা অবস্থায় বোরো ধানের জমিতে পাট বীজ বুনে দিতে হয়। মাটিতে রসের অভাব হলে একটা সেচ দিয়ে নিতে হবে। কিছু দিনের মধ্যে পাটবীজ গজাবে।
বীজের পরিমাণ : প্রতি বিঘা জমিতে (৩৩ শতাংশ) ১০০০ গ্রাম-১২৫০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন।
জাতের নাম : তোষা পাটবীজ।
সারের পরিমাণ : কোনো সার প্রয়োগ করার প্রয়োজন নেই। বোরো চাষের সময় যে পরিমাণ সার ব্যবহার করা হয়েছে ওই ফসল তোলার পর যেটুকু অবশিষ্ট থাকে তাতেই পাট উৎপাদন করা সম্ভব।
পরিচর্যা : বোরো ধান কাটার পর পাটের জমিতে দুইবার নিড়ানি দিতে হবে। এতে করে আগাছা দমন হবে এবং মাটির আস্তরণ ভাঙার ফলে মাটির রস সংরক্ষিত হবে।
ফলন : এই পদ্ধতিতে চাষ করে ১০-১২ মণ বিঘাপ্রতি (কাঁচা পাটের আঁশ) ফলন পেয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় চাষ দিয়ে চাষিরা পাট উৎপাদনে ফলন ৭-১০ মণ প্রতি বিঘায় পেয়েছেন। বিষয়টি অনেকের কাছে লাভজনক বলে মনে হয়েছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম