কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ দেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা সর্বোত্তম ফলন দিতে সক্ষম এমন অনেকগুলো ধানের জাত শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন জাতের ফলনের তুলনা ও নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমন এবং বোরো উভয় মৌসুমেই সেরা ফলন দেওয়া ধানের জাত শনাক্ত করেছেন তারা।
অতি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। ব্রি প্রধান কার্যালয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষকরা দেখেছেন, বর্তমানে ব্রি ধান৮৮, ব্রি ধান৯৬ এবং ব্রি ধান৯২ বোরো মৌসুমের সেরা ফলন প্রদানকারী ধানের জাত। রোপা আমান মৌসুমে, আইআর১৩এফ৪৪১ এবং ব্রি ধান৭৯ আকস্মিক বন্যাপ্রবণ পরিবেশের কার্যকরী জাত। এ ছাড়া ভারতীয় ধানের জাত স্বর্ণার বিকল্প হিসেবে দেশের উত্তরাঞ্চলে ব্রি ধান৯৩, ব্রি ধান৯৪ এবং ব্রি ধান৯৫ সবচেয়ে জনপ্রিয়। তবে মাঠ পর্যায়ে আমনের সর্বোচ্চ ফলন প্রদানকারী জাত হচ্ছে ব্রি ধান৮৭।
তিন বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি হেড টু হেড অ্যাডাপটিভ ট্রায়াল (এইচএইচএটি) পরিচালনা করার পর গবেষকরা এই ধানের জাতগুলো চিহ্নিত করেছেন। তারা পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও পরিমাণগত ডাটা তৈরির মাধ্যমে জনপ্রিয় পুরনো মেগা জাতের তুলনায় নতুন উদ্ভাবিত জাতের উৎপাদনশীলতা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইচএইচএটি ট্রায়াল পরিচালনা করেন। এই ট্রায়ালে নতুন উদ্ভাবিত উফশী জাত, আগে চাষকৃত বেঞ্চমার্ক জাত এবং কৃষক পর্যায়ের স্থানীয় জাতগুলোর উৎপাদনশীলতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য এক মাঠে একত্রে চাষ করে উল্লিখিত ফলাফল পাওয়া যায়।
গবেষণাটির ব্রি অংশের ফলাফল উপস্থাপন করেন ড. মো. হুমায়ুন কবির, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান, ফলিত গবেষণা বিভাগ, ব্রি এবং ইরি অংশের ফলাফল উপস্থাপন করেন ইরির বিজ্ঞানী এবং সাউথ এশিয়া–সিড সিস্টেম অ্যান্ড প্রডাক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড ড. স্বাতী নায়েক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রির পরিচালক গবেষণা ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রির পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মো. আবু বকর ছিদ্দিক এবং ইরির প্রজেক্ট লিড ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে ইরি, ব্রি, বিএডিসি, বিনা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, আরডিএ এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এম ইসলাম